গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১, ২০২১ , ২:৪৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে ডেস্ক : খালেদা জিয়া লিভার, কিডনী ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময় তার স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি কতটা জটিল এবং শোচনীয় ছিল সেটা তার চিকিৎসকরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার করোনা পরবর্তী জটিলতা নিরসন হলেও বর্তমানে তিনি লিভার, কিডনী ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় তীব্র অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আরো উন্নত সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
প্রিন্স বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রারম্ভে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার শর্তসাপেক্ষে তাদের দেয়া ফরমায়েশী রায় স্থগিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলেও কার্যত তিনি গৃহবন্দী। সরকার প্রথম দফায় বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসার শর্ত দিলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসার শর্ত দেয়।
সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় মন্তব্য করে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ভয় পায় তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বকে। এজন্যই তারা ফরমায়েশী রায়ের ওপর ভিত্তি করে বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে এবং তার উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। সুতরাং খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। ক্ষমতা জবরদখলকারী সরকারের মন্ত্রীরা রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলসহ বিরোধী দল ও জনগণকে নেতৃত্বশুন্য করার ষড়যন্ত্র করছে, এটি জনগণ বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, সরকারকে ছলচাতুরী ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য পূনরায় আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। প্রায় আড়াই বছরের মতো কারাগারে থাকার পরে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।