আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য করোনার মধ্যেও বিবিধ খাতের ৭ কোম্পানির মুনাফায় চমক

করোনার মধ্যেও বিবিধ খাতের ৭ কোম্পানির মুনাফায় চমক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৫, ২০২১ , ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা মহামারির সংক্রমণের প্রভাবে পুঁজিবাজারের প্রায় সব খাতের কোম্পানিই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার করোনার মধ্যে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি মুনাফায় চমকও দেখিয়েছে। তেমিন বিবিধ খাতের সাত কোম্পানি করোনা মহামারির মধ্যেও মুনাফায় চমক দেখিয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো-বেক্সিমকো লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিড মিল, আরামিট লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস্, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), ইনডেক্স এগ্রো এবং সিনোবাংলা লিমিটেড। ঢাকা এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে ৭টি কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে, ২টির কমেছে। অন্যদিকে ৪টির লোকসান বেড়েছে, ১টির কমেছে। নিচের ছকে বিবিধ খাতের ১৪ কোম্পানির ২০১৯-২০ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক ও সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৯ মাসে এবং সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসের শেয়ার প্রতি আয়ের তুলনামুলক চিত্র দেখানো হলো- উপরের চিত্রে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিবিধ খাতের ৭ কোম্পানি করোনার মধ্যেও ভালো প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। কোম্পিানিগুলোর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড ও ন্যাশনাল ফিড মিলের মুনাফায় ছিল বড় চমক। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসেও (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানি দুটির মুনাফায় ঝৌলুস দেখা যাচ্ছে।
করোনার মধ্যেও মুনাফায় চমক থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিএস বৃদ্ধির থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকোর ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা থেকে ২ টাকা ৩৮ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা বা ১৮৮৩ শতাংশ।
এদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে ন্যাশনাল ফিড মিলের ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের বছর তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ৬ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ৭৬ পয়সা বা ১২৬৬ শতাংশ। তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো মধ্যে ইপিএস বেড়েছে আরামিট লিমিটেডের ১৪৫ শতাংশ, বার্জার পেইন্টসের ৩৫.৪৫ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ২৮.৫৭ শতাংশ, সিনো বাংলার ১৪.২৯ শতাংশ, ইনডেক্স এগ্রোর ১২.৪০ শতাংশ।
তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলানায় সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিএস কমেছে দুই কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো- আমান ফিডের ইপিএস কমেছে ৩৪.৪৩ শতাংশ এবং এসকে ট্রিমসের ৮০ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলানায় সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে ৫ কোম্পনির। কোম্পানিগুলো হলো- জিকিউ বলপেন, উসমানিয়া গ্লাস, সাভার রিফ্যাকটরিজ, খান ব্রাদার্স এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। জিকিউ বলপেনের আগের বছর তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান ছিল ৮১ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা। লোকসান বেড়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা বা ২০৯.৮৮ শতাংশ। উসমানিয়া গ্লাসের আগের বছর তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান ছিল ২.৩৫ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৭৫ পয়সা। লোকসান বেড়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১০২.১৩ শতাংশ। সাভার রিফ্যাকটরিজ লিমিটেডের আগের বছর তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান ছিল ১৬ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) লোকসান হয়েছে ২৫ পয়সা। লোকসান বেড়েছে ০৯ পয়সা বা ৫৬.২৫ শতাংশ। খান ব্রাদার্সের আগের বছর তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান ছিল ০২ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) লোকসান হয়েছে ০৩ পয়সা। লোকসান বেড়েছে ০১ পয়সা বা ৫০ শতাংশ। মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিএস আলাদাভাবে প্রকাশ করেনি। তিন প্রান্তিক এক সাথে প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, আগের বছর তিন প্রান্তিকে (জুলাই’১৯-মার্চ’২০) কোম্পানিটির লোকসান ছিল ৩ টাকা ১৬ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-জানুয়ারি-মার্চ’২১) লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। লোকসান কমেছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা বা ৬৬.৩৮ শতাংশ।