কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ শিথিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে বেড়েছে মানুষের চাপ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঈদযাত্রা। বেড়েছে যানবাহনও। মহাসড়কে লেগেছে যানজট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও কোথাও তা মানা হচ্ছে না। গণপরিবহণ চালুর প্রথম দিন থেকেই সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রীচাপ চোখে পড়ছে। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার রাজধানীর সড়কে যানজট ও লোকসমাগম কম হলেও মহাসড়কগুলোর অবস্থা ভয়াবহ।
শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা যায়। গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে থেমে থেমে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে ঢাকার নবীনগর বাইপেল পযর্ন্ত ও চন্দ্রা থেকে কোনাবাড়ী পযর্ন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে রয়েছে। থেমে থেমে গাড়ি চলছে। দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শত শত কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় আটকা পড়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের চাপ বেড়েছে। একই সঙ্গে গত কয়েক দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপও বেড়েছে কয়েক গুণ।
টার্মিনাল ও ফেরিঘাটগুলোয় ছিল জটলা। কিছু কিছু পরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহন করা হলেও অধিকাংশ পরিবহণ তা মানেনি। যাত্রীচাপের সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করেছে অনেক পরিবহন। যাত্রীদের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা-অনেকের মুখে মাস্কই দেখা যায়নি।। মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে চলাচল করতেও দেখা গেছে। ঈদের আগে আটদিন বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় দোকান, বাজার, শপিং মল খুয়ে দেওয়ায় ঘরে আটকা মানুষ ছুটছেন বাজারে ও শপিং মলে। বেশিরভাগের মুখে মাস্ক থাকলেও ভিড়ের মধ্যে গাদাগাদি করেই কিনছেন এটা-ওটা। রাজধানীর নিউমার্কেট ও কয়েকটি শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। যে কারণে সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টগুলো তুলে দেওয়ায় নিয়ম শৃঙ্খলা মানছেন না কেউই। মাস্ক ছাড়াই মানুষ রাস্তায় অবাধে চলাচল করছেন। অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই করোনাভীতি দেখা যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যেও ঈদুল-আজহা উপলক্ষে ১৫ থেকে ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। এ কারণে বৃহস্পতিবার গণপরিবহণ চালুর পাশাপাশি শপিংমলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর লকডাউন শুরু হবে। যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধের পর গণপরিবহণ চালু হওয়ায় মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। এছাড়া শুক্র ও শনিবার সামনে রেখেও অনেকে বৃহস্পতিবার বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন। ঈদ উপলক্ষে যাতায়াতকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তবে যাত্রীদের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
এদিকে ঈদের পর আবারও দেশে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই মার্কেটে-শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় এবং ঈদে ঘরমুখো জোয়ার মিলে এই ভয়কে বড় করে তুলছে। এর মধ্যে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ সেই শঙ্কাকে আরও তীব্র করে তুলছে।