ধীরে ধীরে উঠে যাবে বিধিনিষেধ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে দেশে সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। যা আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। তবে বিধিনিষেধের মেনে চলার প্রতি অনেকের আছে অনীহা। এই বিধিনিষেধের কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ক্ষতি হচ্ছে অর্থনীতি। এসব কারণে আগামী ৫ আগস্টের পর থেকে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হবে এবং সব খোলা হবে। প্রথমে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিসগুলো খোলা হবে। তবে সব কিছু এক সঙ্গে নয়। ধাপে ধাপে সব খোলা হবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সব ধীরে ধীরে খোলা হবে। তবে একবারে না। সব ধাপে ধাপে খোলা হবে। কিন্তু এক সঙ্গে সব খোলা হবে না। প্রথম দিকে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস খোলা হবে বলেও জানান তিনি। এ দিকে বিধিনিষেধের মধ্যেও শিল্প-কারখানা খোলা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। শোনা যাচ্ছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সবগুলো শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হবে। তবে এবিষয়ে এখনো কোন নিশ্চিয়তা পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, লকডাউনের মধ্যে কারখানা খোলা রাখার জন্য শিল্প মালিকদের অনুরোধ তারা রাখতে পারছেন না। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অনেকের লকডাউনের বিষয়ে অনীহা আছে। কিন্তু অনীহা হলে চলবে না। কারণ আগে জীবন বাঁচবে। এরপরে অর্থনীতি। আপনি আগে বেঁচে থাকুন। এরপর আপনার অর্থনীতি। অর্থনীতি দিয়ে কী করবেন? অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে জীবন বাঁচাতে হবে। জীবন বাঁচাতে হলে আপনাদের লকডাউন মানতে হবে এবং টিকা নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, মাস্ক সবাইকে পরতে হবে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, লকডাউন আজ চার দিন চলছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ চলাচল করছে, গাড়ি বের হচ্ছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। তারা লকডাউন ব্রেক করছে। তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছে।
এক-দুই দিনের মধ্যে গার্মেন্টস খোলার সম্ভাবনার বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, চলতি মাসে সম্ভাবনা খুবই কম। আমরা সবাইকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাচ্ছি। তবে দুই সপ্তাহ পরে গার্মেন্টস খুলে দেব। সব রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেব। আগামী ১ আগস্ট থেকে খোলা হবে শিল্প-কারখানা খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ঠেকানোর জন্য ঘোষিত লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলাচলসহ সব যানবাহন বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকায় এবং অন্যান্য মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু করতে পারে। পরে পর্যােয়ক্রমে দূরপাল্লার বাসও চলাচল করবে। এর মধ্যে টিকা দেয়ার কার্যোক্রম চলবে এবং সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর এর ভিতরে আরো টিকা চলে আসবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা রোধে সবারই সবার জায়গা থেকে চেষ্টা করা উচিত। কারণ এভাবে আমরা তো বাঁচতে পারবো না। আমাদের কাজও করতে হবে এবং মাস্কও পরতে হবে। আর আমাদের টিকার সংকট কেটে গেছে। সবাইকে এখন টিকার আওতায় আনা হবে। করোনা রোধ সরকার ঘোষিত চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, পোশাকশিল্পসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনও। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর অপ্রয়োজনে বাইরে বের হলেই জেল এবং জরিমানাও করা হচ্ছে।