আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// ঢিলেঢালা নজরদারি, গণপরিবহন ছাড়া চলছে সবই

ঢিলেঢালা নজরদারি, গণপরিবহন ছাড়া চলছে সবই


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  ঢিলেঢালা নজরদারির মধ্যে দিয়েই মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) কঠোর বিধিনিষেধের দ্বাদশতম দিন শুরু হয়। সকাল থেকেই সড়কে মানুষের ভিড়। পুলিশ চেকপোস্টের সংখ্যা কম। আবার চেকপোষ্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তাদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। গণপরিবহন ছাড়া চলছে সবই। এদিকে আজও রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথ দিয়ে ঢাকায় ঢুকতে গ্রামে থাকা মানুষ। রাজধানীর গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, সাইনবোর্ড বাবুবাজার ব্রিজ হয় আজও লোকজন ঢাকায় ফিরছে। তবে অন্যান্য সময় মত মানুষের চাপ নেই।

সকাল থেকেই রাজধানীর সব এলাকার সব সড়কে অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। যাতায়াতের পথে আজও তাদের যানবাহনের অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অবশ্য পুলিশের নজরদারি না থাকায় রিক্সা ও ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি অনেক সিএনজি যাত্রী পরিবহন করেছে। রাজধানীর সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিধিনিষেধের বিগত দিনগুলোতে পুলিশ, রাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী সহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক তৎপর ছিলেন। কিন্তু গত ৩দিন ধরেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা একেবারেই কমে গেছে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরী সড়কে পুলিশের একটি চেকপোস্ট থাকলেও আজ তাদের অনেকটাই নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও যানবাহন থামিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে আগে চেকপোস্ট থাকলেও আজ সেখানে চেকপোস্টে পুলিশ দেখা যায়নি। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ চেকপোস্ট গাড়ির চাপে পুলিশ অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাবে দায়িত্ব পালন করে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে আগের মত তাদের মধ্যে কোন আগ্রহ নেই। সড়কে সেনাবাহিনীর চলাচল কোথাও কোথাও দেখা গেলেও বিধিনিষেধ কার্যকরে তাদের আগ্রহ দেখা যায়নি। রাজধানীর সাতরাস্তা মোর থেকে মহাখালী সড়কে বিধি নিষেধ কার্যকর করতে ইতিপূর্বে দুইটি চেকপোস্ট থাকলেও গতকাল চেকপোস্টের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে চেকপোস্টের পাশের রাস্তায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় উপস্থিতি দেখা যায়।গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও বিমানবন্দর সড়ক, ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন এবং রিক্সার চাপ রয়েছে। রাজধানীর অন্যান্য সব সড়কে মানুষ এবং যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

এদিকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ট্রাক এবং পিকআপ ভ্যানে আজও ঢাকায় ফিরছে মানুষ। মানুষ এবং যানবাহনের সবচেয়ে বেশি ভিড় রয়েছে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। এখানে ব্যাপকহারে যানবাহনের চাপ রয়েছে। যানবাহনগুলো অবাধে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে এবং ঢাকায় প্রবেশ করছে। এখানে সব সড়কে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। এখানেও যানবাহনের চাপের কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও ব্যাপক ঢিলেঢালা ভাবে তারা দায়িত্ব পালন করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ছিটেফোটাও ব্যস্ততম আব্দুল্লাহপুর এলাকায় মানুষের মাঝে দেখা যায়নি। রাজধানীর গাবতলী এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধের শুরু থেকেই ব্রিজের উপরে চেকপোষ্টে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকলেও গত দু’দিন যাবত যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় পুলিশ আরেকটা দায়সারা ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সব যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পেছনে গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে যায়।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যাত্রির চাপ একেবারেই কমে গেছে। মানুষ বা যানবাহনের কোন ভিড় ছিলো না। তবে এখনও লোকজন এই ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় ফিরছে। এই ঘাটে মাত্র চারটি ফেরি দিয়ে জরুরী পরিবহন গুলো পারাপারের কাজ চলছে। কিন্তু তারপরেও ঘাটে কোনো চাপ নেই। বৃষ্টির মধ্যেও একেবারেই স্বাভাবিক সময়ের মতো মানুষ এবং ব্যক্তিগত যানবাহন ঘাটে আসছে। একটি ফেরি পূর্ণ হতে অনেকক্ষণ সময় লাগছে। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী এবং যানবাহনের কোনো চাপ নেই। তবে এই ঘাট দিয়ে আজও মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। সবগুলো ঘাট এলাকায় একেবারে ফাঁকা এখানেও চারটি ফেরি চলাচল করছে। গত রোববার মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও সোমবার ভোর থেকেই এই ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ একেবারেই কমে যায়। আজ মঙ্গলবার একই অবস্থা অব্যাহত রয়েছে।