শপথ দিলেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৬, ২০২১ , ২:১৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, একতরফা ও অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং চাপ সৃষ্টি করে দেশের জনগণকে তাদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। বৃহস্পতিবার ইরানের জাতীয় সংসদে অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এক বক্তৃতায় ইব্রাহিম রায়িসি এসব কথা বলেন। তিনি জোরালোভাবে বলেন, “ইরানের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাব।” তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে যখন শত্রুদের চাপ প্রয়োগ এবং ইরান-বিরোধী তৎপরতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে তখন ইরানের জনগণ ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এক মহাকাব্য রচনা করেছেন। আজকের দিনে দেশের জনগণ আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে ন্যায়বিচার, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করি।” তিনি বলেন, “আমরা হচ্ছি মানবাধিকারের সত্যিকার রক্ষক এবং ইউরোপ ও আমেরিকার কেন্দ্রে অথবা আফ্রিকা কিংবা ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সিরিয়া যেখানেই মানবতার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চলুক না কেন আমরা সেখানে চুপ থাকব না।” প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “আমরা নিপীড়িতদের পাশে থাকবো এবং দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজ আশা করে আমরা নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হই।” তিনি বলেন, তার প্রশাসন ইরানি জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতা গ্রহণ করেছে এবং জনগণের স্বার্থ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করবে।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ইরানের এক কোটির বেশি জনগণের সেবা করার জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন। যে প্রশাসন জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সেই প্রশাসন জাতীয় ঐক্যের প্রশাসন এবং সেখানে নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয় কিংবা অন্য কোনও গোষ্ঠীগত বিভেদের স্থান নেই। সরকারের তিন শাখার মধ্যে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে সাইয়্যেদ মোহাম্মদ রায়িসি বলেন, চলমান স্পর্শকাতর সময়ে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনগণের সেবার জন্য কোনো সুযোগ নষ্ট করা উচিত হবে না। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি সমস্ত দেশের প্রতি বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। ইরানের যে শক্তি রয়েছে তা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্যই অর্জন করা। এ অঞ্চলের দেশগুলোর শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই ইরানের এই আঞ্চলিক সক্ষমতা। এই সক্ষমতা একমাত্র বলদর্পী ও নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে। তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সঙ্কটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে জনগণের অধিকারের ভিত্তিতে আঞ্চলিক সংলাপ অনুষ্ঠান।