পুলিশের হাতে আটক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৪, ২০২১ , ২:১৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : ভারতের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খিরিতে ৪ কৃষককে হত্যার প্রতিবাদে সেখানে যাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতারা। তবে খিরিতে যাওয়ার আগেই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে পুলিশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পুলিশ গৃহবন্দী করে রেখেছে। রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে পুলিশি বিধি নিষেধ অমান্য করে লখনউ থেকে লখিমপুর খিরির উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ একাধিক কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস সুত্রে জানা গেছে, হরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। পুলিশ প্রিয়াঙ্কার গাড়ি আটকানোর পর পায়ে হেঁটেই লখিমপুরের দিকে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা। দফায় দফায় লখিমপুর যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্কাসহ কংগ্রেস নেতাদের বাধা দেয়া হয়। আটকে দেয়া হয়েছে কনভয়। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি লখনউ থেকে আটক করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। জানা গেছে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বাগবিতন্ডার পর সোমবার ভোর ৫.৩০ মিনিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে হরগাঁও থানা এলাকায় আটক করে পুলিশ। এরপর সীতাপুর জেলার একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খিরি যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রোববারের ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, ওই দেশে কৃষকদের যেভাবে পদদলিত করা হচ্ছে, তাতে আমার কোনও নিন্দার ভাষা নেই। কয়েক মাস ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছে কিন্তু সরকার শুনতে প্রস্তুত নয়। আজকের ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, কেন্দ্রের এই সরকার কৃষকদের পিষে ফেলার রাজনীতি করছে। তবে ভারত কৃষকদের দেশ।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে কোনও অপরাধ করিনি। শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাই এবং তাদের দুঃখ ভাগ করতে চাই। আমি কি ভুল করছি? যদি কিছু ভুল করে থাকি, তাহলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা উচিত। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আমাকে আটকে রেখেছে, কিন্তু কোন কারণে?
এদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর সফরের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছিলো এলাকার কৃষকরা। অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি ২ কৃষককে পিষেদেয়। সেই গাড়িতে ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। লখিমপুর খিরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং জানিয়েছেন, ওই সংঘর্ষে ৪ কৃষকসহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।