বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সেতু, বিনিয়োগ করুন: প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ২:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের মধ্যে ব্যাসায়িক যোগোযোগের মাধ্যমে একটি সেতুবন্ধন হিসেবেই গড়ে উঠবে। যেসব ব্যাবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসবেন তারা এখান থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজার ধরারও একটা সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন ২০তম স্থান অর্জন করেছে। আমাদেরকে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে হবে। বিদেশিদের জন্য বাণিজ্য কূটনীতি আমরা জোরদার করেছি, এটা আরও বাড়াতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৮৮২ মার্কিন মিলিয়ন ডলার। তখন বাংলাদেশ সারা বিশ্বে বিশেষ করে এশিয়ায় অর্থনৈতিক ভাবে আরো খারাপ অবস্থায় ছিল। তার মধ্যেও আমরা রপ্তানি বাড়িয়েছি। ২০০০ থেকে ২০০১ সালে তা উন্নত করেছি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ১৫ হাজার ৬৫৬ মার্কিন ডলার ছিল। গত ১৩ বছরে আমরা সেই রপ্তানি ৪৫ হাজার ৩৮৬ ডলারে উন্নীত করেছি। আমাদের দেশে রপ্তানি বাড়াতে রপ্তানি পণ্য গুলিকে বহুমুখী করার ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্তমানে আমরা ৭৬৬ টি পণ্য রপ্তানি করছি। এক্ষেত্রে নতুন নতুন আইন করেছি, আইন সংশোধন করেছি। এতে শিল্প উৎপাদন বাড়বে সেই সঙ্গে শ্রমিকের অধিকার রক্ষা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছি। বেসরকারিখাত যেন আরও আকর্ষণীয় হয় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বেশি ঘটে তার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এজন্য দেশে-বিদেশে সেমিনার ওয়ার্কশপ রোড শো লেজার শো আয়োজনে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুন্দর নিরাপত্তা উন্নত জীবন পায় সেজন্য আমরা নানা পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০৪১ সালে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নেওয়ার পাশাপাশি ২১০০ সালে কেমন বাংলাদেশ হবে সে কথা বিবেচনায় রেখে বদ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছি।