আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// কয়লা বর্জনের অঙ্গীকার ১৯০ দেশ ও সংস্থার

কয়লা বর্জনের অঙ্গীকার ১৯০ দেশ ও সংস্থার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ৪, ২০২১ , ৩:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :   পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চিলির মতো কয়লা ব্যবহারকারী দেশগুলোসহ বিশ্বের ১৯০টি দেশ ও সংস্থা কয়লার ব্যবহার বন্ধে অঙ্গীকার করেছে। গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে তারা এ অঙ্গীকার করে। যুক্তরাজ্য সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসি এ খবর জানায়। জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এ কয়লা। যুক্তরাজ্য বলছে, ১৯০ দেশ ও সংস্থা কয়লা বর্জনের এ অঙ্গীকার করেছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়লা নির্ভরশীল দেশগুলো এ অঙ্গীকার চুক্তিতে সই করেনি। কয়লা বর্জনের চুক্তিতে সই করা দেশগুলো নিজ দেশ, অথবা বিদেশে কয়লাভিত্তিক কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বা কারখানায় নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারবে না।

যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও বিদ্যুৎ বিষয়ক মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বলেন, ‘কয়লার শেষ দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।’ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব সঠিক দিকেই এগোচ্ছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, কয়লা বর্জনের চুক্তিতে সই করা দেশের সংখ্যা ৪০টি। এদের মধ্যে পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চিলিসহ ১৮টি দেশ রয়েছে, যারা প্রথমবারের মতো কয়লাভিত্তিক নতুন প্রকল্প না নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যেরই ব্যবসা বিষয়ক ছায়া মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বলছেন, চীনসহ অন্য বড় (গ্রিনহাউস গ্যাস) নির্গমনকারী দেশ এ চুক্তিতে না থাকায় বিশাল ফারাক থেকেই যাচ্ছে। তারা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধে কোনো প্রতিশ্রুত দেয়নি।

তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তেল ও গ্যাসের মতো জ্বীবাশ্ম জ্বালানীর বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই জলবায়ু সম্মেলন থেকে আসেনি। এক হিসেবে দেখা গেছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৩৭ শতাংশ কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে উৎপাদিত হয়ে থাকে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভারত সামনের সারিতে রয়েছে।

সম্প্রতি মিথেন গ্যাসের উৎপাদন কমানো নিয়েও একটি চুক্তি হয়েছে। তবে কয়লা ও জ্বীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার না থামাতে পারলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণায়ন ঠেকানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে; এক কথায়, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না।