আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// ধুঁকতে ধুঁকতে ১২৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল বাংলাদেশ

ধুঁকতে ধুঁকতে ১২৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল বাংলাদেশ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৯, ২০২১ , ৪:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের মামুলি স্কোর করলো বাংলাদেশ। তাই বাবর আজমের পাকিস্তানকে জিততে হলে করতে হবে ১২৮ রান। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার। তবে শুরুর সেই চাপ সামাল দিতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। মনে হচ্ছিল নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন সংগ্রহের লজ্জায়ই হয়তো পড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে।

সেই অবস্থা থেকে দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তিন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদি হাসান। এ তিনজনের ব্যাটে ভর করে মামুলি লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩ রানে হাসান আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় নাঈম শেখ। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন ৩ বলে ১ রান। এরপর ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ ছিলো সাইফ হাসানও। দলীয় ১০ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যায়। এই ব্যাটার আউট হওয়ার আগে করে ৮ বলে ১ রান।

দুই ওপেনার যখন শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় তখন ক্রিজে এসে ভালো কিছুর আভাস দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। দলীয় ১৫ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ক্যাচ তুলেন শান্ত। নিজের বলে নিজেই দারুণ ক্যাচ নেন ওয়াসিম। আউট হওয়ার আগে শান্ত করেন ১৪ বলে ৭ রান। এরপর পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান চার নম্বরে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুব। হারিস রউফের এই ওভার থেকে আসে ১০ রান। এই ওভারের মধ্য দিয়েই শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার মিশনে নামেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও তরুণ বাঁহাতি আফিফ।

কিন্তু মোহাম্মদ নওয়াজের করা ইনিংসের ৯ম ওভারের শেষ বলটি মিস করেন মাহমুদউল্লাহ।একটু পর দেখা গেলো স্ট্যাম্পের বেল পড়ে গেলো। নওয়াজ উইকেট পাওয়ার আনন্দে উল্লাস করছেন। রিয়াদ অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। আম্পায়াররা দু’জন কথা বলে টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চাইলেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পের উপর দিয়ে যাওয়ার পথে আলতো ছোঁয়া লাগিয়েছে বেলের ওপর। মনে হচ্ছিল যেন বাতাস লাগিয়েছে। এর খানিক পরই বেল পড়ে যেতে দেখা গেলো। ফলে আউটের সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার। সাজঘরে ফেরার আগে অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।

মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর অবশ্য আফিফকেও আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। শাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু আফিফ রিভিউ নিলে দেখা যায়, তিনি আউট হননি। বল অফ স্ট্যাম্প মিস করে যেতো। এ যাত্রায় বেঁচে গিয়ে পরের ওভারেই চড়াও হন মোহাম্মদ নওয়াজের ওপর। পরপর দুটি ছক্কার মার মারেন তিনি।

সেই ওভারেই পূরণ হয় দলীয় পঞ্চাশ। মনে হচ্ছিল ব্যক্তিগত ফিফটিও হয়তো তুলে নেবেন আফিফ। কিন্তু শাদাবের বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর, তার ওভারেই আউট হন আফিফ। শাদাবের ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে গুগলি ধরতে না পেরে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন দুইটি করে চার-ছয়ের মারে ৩৬ রান করা আফিফ। শেষ দিকে শেখ মেহেদী হাসান ও সোহানের ব্যাটে সম্মান জনক রান পায় বাংলাদেশ।