মৃতদের ৮০ শতাংশই টিকা নেননি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২ , ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহের তুলনায় চতুর্থ সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। আর মৃত ব্যক্তিদের ৮০ শতাংশ করোনার টিকা নেননি। গতকাল সোমবার (রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে করোনায় মৃত্যু ও টিকার এই তথ্য জানা গেছে। গতকাল দেশে ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে জানুয়ারি মাসে মোট ২৮৬ জনের মৃত্যু হলো। প্রথম সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে মারা যান যথাক্রমে ৪২ ও ৭৯ জন। চতুর্থ বা শেষ সপ্তাহে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে।
সর্বশেষ সপ্তাহে মারা যাওয়া ১৪০ জনের মধ্যে ১০৯ জন বা ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ করোনার টিকা নেননি। টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন। তাঁদের মধ্যে এক ডোজ টিকা নিয়েছিলেন ৬ জন, পূর দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন ২৩ জন এবং তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন ২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা করোনারভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধ করতে পারবে না। তবে টিকা পাওয়া ব্যক্তি আক্রান্ত হলে উপসর্গের তীব্রতা কম হবে, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন কম হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে।
বয়স যাদের বেশি এবং যারা অসংক্রামক রোগে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বক্ষব্যাধি, হৃদ্রোগ, কিডনিজনিত রোগ) আক্রান্ত, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। সর্বশেষ সপ্তাহে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৭৬ শতাংশের বয়স ৫১ বছর বা তার বেশি। অন্যদিকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৬৫ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ, ৬২ শতাংশের ডায়াবেটিস এবং ২০ শতাংশের হৃদ্রোগ ছিল।
দেশে করোনা শনাক্তের সক্ষমতা বেড়েছে। করোনা শনাক্তের জন্য সরকারি-বেসরকারি ৬৫৩টি পরীক্ষাগার সক্রিয়। আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা রোগী শনাক্ত করা হচ্ছে। সর্বশেষ এক দিনে ৪৫ হাজার ৩৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৫০১ জনের বা ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালে কম ভর্তি হচ্ছেন। গত ১০ দিনে এক লাখের বেশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু গতকাল হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় ২ হাজার ৫৪৯ জন এবং আইসিইউ শয্যায় ৩৩২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।