বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা, বোমা-আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিচ্ছে ইউক্রেন
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ , ৫:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনে একটি আগ্রাসন যে কোনো সময় চালাতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসবের মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও অব্যহতভাবে চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিংকেন বলেন, শনিবার (স্থানীয় সময়) তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই লাভরভের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়, তাহলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধ দেবে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সব নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। যুক্তরাজ্যও তাদের নাগরিকদের বলেছে, কোনো ধরনের সামরিক চেষ্টায় নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার আশা না করে তারা যেনো শিগগিরই ইউক্রেন ছাড়ে। নিউজিল্যান্ডও তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক নাতাশা বাটলার শনিবার বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দারা কিয়েভকে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের রাজধানী শহরটি ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করছে রুশ বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘এটা রাজধানী শহর- কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার স্নায়ু যুদ্ধকালীন বোমা-আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পুনরায় খুলে দিচ্ছে।’ কিয়েভের মেয়র বলেন, বোমা-আশ্রয়কেন্দ্রগুলো (বোমা চালানো সময় আশ্রয় নেয়ার জন্য নিরাপদ স্থান) আবারও প্রস্তুত করা হবে। বাটলার বলেন, কিয়েভের বাসিন্দারা জানেন যে, পরিস্থিতি ‘আসলেই উদ্বেগজনক’। তারা মনে করেন, ‘পরিস্থিতি আগের যে কোনো সময়ে চেয়ে বেশি জটিল’ হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে বসছেন।
রুশ বার্তাসংস্থা রিয়া বলছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে ৩০টির বেশি রুশ জাহাজ মহড়া শুরু করেছে। আরও ৩০টি রুশ জাহাজ সেভাস্টোপল ও নভোরোসিস্ক বন্দর থেকে মহড়ার উদ্দেশে রওয়ানা করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে বেলারুশের সঙ্গে সামরিক মহড়া শুরু করে রাশিয়া। একইভাবে ইউক্রেনও সামরিক মহড়া দিচ্ছে।
গত বছরের শেষদিকে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এর জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো মনে করে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। তবে রাশিয়া বলছে, তাদের এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই। ইউক্রেনে সম্ভাব্য আগ্রাসনের শঙ্কার মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে তাদের সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম বাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, ন্যাটোর শক্তি বৃদ্ধি করতেই এ উদ্যোগ তাদের।