আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// বইমেলা শুরু মঙ্গলবার, বাড়তে পারে সময়

বইমেলা শুরু মঙ্গলবার, বাড়তে পারে সময়


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ , ৩:৪৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  করোনা সংক্রমণ কমলে অমর একুশে বইমেলার সময় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, করোনার কারণে বইমেলার সময়সীমা এবার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখন যেভাবে সংক্রমণের হার কমছে, সেভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে মেলার সময়সীমা আমরা খানিকটা বাড়াতে পারব। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এসময় বইমেলার সময়সীমার বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ৩টা থেকে বইমেলা শুরু হতো। কিন্তু এ বছর যেহেতু আমাদের সময় কম, ১৫ দিনের মেলা, সেজন্য আমরা দুপুর ২টা থেকে মেলা শুরু করব। ছুটির দিনে বরাবরের মতো সকাল ১১টা থেকে মেলা শুরু হবে। তিনি বলেন, এবার মেলার ভেতরে কোনো খাবার স্টলে খাবার খেতে হলে টিকার সনদ দেখাতে হবে। একইসঙ্গে খাবার স্টলে সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। শিশুদের জন্য আলাদা মঞ্চের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্য মঞ্চ রাখা হয়েছে। সচিব জানান, এবার বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ চাই’।

প্রকাশকদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মেলা হচ্ছে প্রকাশকদের মেলা। তারা একটি মেলার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেন। আমরা কোনোভাবেই চাইব না, মেলার প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। গত বছর অর্ধেক ভাড়া নিয়েছি। আর এবার যদি মেলার সময়সীমা বাড়ানো হয়, তাহলে সেটাই হবে তাদের জন্য প্রণোদনা। সংবাদ সম্মেলনে সচিব আবুল মনসুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় এবার আমরা মেলা আয়োজন করতে পারছি। মেলায় সরকারের স্বাস্থ্য প্রটোকল আমরা মেনে চলব। এবার মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাডেমির কর্মকর্তা ও প্রকাশক, স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিক্রয়কর্মীদের টিকার সনদ থাকতে হবে। কারও না থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা এবং শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, অনেক ভুল-ভ্রান্তি সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বইমেলা পূর্ণতা পেতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। আশা করছি, এ বার সেটা হবে না। সচিব আবুল মনসুর আহমেদ জানান, মেলায় সার্বক্ষণিক আমাদের একটি মোবাইল কোর্ট থাকবে, যেন গেটে কেউ মাস্ক পরে ঢুকলেও মেলার ভেতরে কেউ মাস্ক খুলতে না পরে। প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিকে বলেছি, প্রতিটি দোকানে ‘নো মাস্ক নো সেল’ এর ব্যানার লাগাতে।

সংবাদ সম্মেলনে মেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ জানান, এবার ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। মেলার মূল আয়তন ৭ লাখ বর্গফুট। তবে মেলায় এখনও অধিকাংশ স্টলের কাজ শেষ হয়নি। প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মেলার স্টল-প্যাভিলিয়নের কাজ আগামী ২৪ ঘণ্টাকে ৪৮ ঘণ্টা বানিয়ে শেষ করবেন তারা।