আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব লীড তুমুল লড়াই, পাইপলাইন উড়িয়ে দিল রাশিয়া

তুমুল লড়াই, পাইপলাইন উড়িয়ে দিল রাশিয়া


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ , ২:৫৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব লীড


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে চলমান বিশেষ সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে খারকিভ এবং রাজধানী কিয়েভে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাদের। এই দুই জায়গায় তুমুল লড়াই চলছে দুইপক্ষের মধ্যে। একাধিক রকেট হামলা চালিয়ে খারকিভে গ্যাসের পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া কিয়েভের তেলের ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটানোর খবর পাওয়া গেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কিয়েভ থেকে অন্তত ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভাসিলকিভে একটি তেলের ডিপোতে আগুন দেখা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ রাজধানীবাসীকে বিষাক্ত ধোঁয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে। বাতাসে ক্ষতিকর উপাদান ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রাজধানীবাসীকে ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ডিপোটিতে আগুন ধরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাশিয়ার ওপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ব্রিটেন। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলোকে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে। কয়েকদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে নানাভাবে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল, সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে তার মাশুল গুণতে হবে। এবার আর হুঁশিয়ারি নয়, রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিলো পশ্চিমা দেশগুলো। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাঁক্রো, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। এমনকি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে ফোন করে সে দেশ থেকে রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে হবে। জার্মানি এবং ফ্রান্সও অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করা শুরু করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছে। রাশিয়ার আগ্রাসনী নীতি এবং সামরিক অভিযান নিয়ে সোমবার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।