আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৫, ২০২২ , ২:১৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


নরসিংদী প্রতিনিধি : বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের এক নারী সদস্যসহ ৮ জন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বরাবর লিখিত ভাবে এ অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন। পরে ইউনিয়নের বীরগাঁও বাজারে মেম্বারগণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। এ সময় তারা জানান চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ তার ভাইদের দিয়ে পরিষদের সকল কাজ করান, আমাদেরকে কোন কাজ দেন না, প্রতিবাদ করলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া সহ নানা অনৈতিক কাজ করান তার ভাইদের দিয়ে। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। এসময় উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল মিত্রসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাবে, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি কার্ড, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে অর্থ আদায়, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর ১% হতবিলের অর্থ ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে গোপন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া, ইউপি সদস্যদের তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করা, জনসম্মূখে অপমান করা, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, বদ মেজাজ, বিভিন্ন ভূয়া বিল- ভাউচারের মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফর্মের ট্রেড লাইসেন্স এর টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আম্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউনিয়নের ৮ জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক এ অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন। কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ জানান, বিগত পাঁচ বছর আমি শতভাগ সততার সাথে আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বলেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে আর কিছুদিন বাদেই। বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন অনেকের কাছে ইর্ষায় পরিনত হয়েছে। তাই স্বার্থন্বেষি একটি মহল আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য ইউপি সদস্যদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।