২৪ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২১, ২০২২ , ৪:১৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : উজানের পাশাপাশি দেশের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে এসেছে। তবে এখনও দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। তবে কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এছাড়া নতুন করে প্লাবিত হতে পারে শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার নিম্নাঞ্চল। এদিকে আজ দেশের ৮ নদীর ১৮ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
এ সময় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আর কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতি সামান্য অবনতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, ঘাঘট, সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, পুরাতন সুরমা ও সোমেশ্বরী নদীর ১৯ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের ৪ পয়েন্টের পানি, যমুনা নদীর ৫ পয়েন্টের পানি এখন বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা আছে কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি। সেখানে পানি বিপৎসীমার ১৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি ১০৬ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে ৭৫ মিলিমিটার, যা গতকাল ছিল চট্টগ্রামে, ২৪২ মিলিমিটার। এ হিসাবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। এছাড়া বরগুনা পয়েন্টে ৫৫ এবং পঞ্চগড়ে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আজ ১৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল ছিল ১২২ মিলিমিটার। এছাড়া জলপাইগুড়িতে ৫৭ এবং অরুণাচলে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।