আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব আগামী সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আগামী সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১২, ২০২২ , ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : আগামী সপ্তাহে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট। সোমবার (১১ জুলাই) এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটি স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক বিবৃতিতে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা জানান, শুক্রবার পুনরায় পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হবে। পাঁচ দিন পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান অনুসারে নতুন একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করা আবশ্যক- এই প্রস্তাবনায় বিভিন্ন দলের সবাই এক বৈঠকের মাধ্যমে এ কথা সম্মতি দেন। ক্ষমতাসীন দল বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা সর্বদলীয় সরকারের নিকট পদত্যাগে রাজি।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখলে নেওয়ার পর উভয়েই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চলা বিক্ষোভের মুখে নিজের সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আগামী বুধবার ( ১৩ জুলাই) পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর আগে শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনেও জানিয়েছিলেন বুধবার পদত্যাগ করবেন গোতাবায়া। সোমবার একটি বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহেকে জানিয়েছেন যে তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগ করবেন। এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, তিনি সর্বদলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। ভোগ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ওষুধের তীব্র সংকট এসবের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে দায়ী করে আসছেন আন্দোলনকারীরা।