ক্ষমতায় গেলে কুইক রেন্টাল আইন বাতিল করবে বিএনপি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৩, ২০২২ , ৫:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে ডেস্ক : বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কুইক রেন্টাল ও বিদ্যুৎখাতে বিশেষ আইন বাতিল করবে বলে জানিয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জাবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উৎপাদন ও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন অতিদ্রুত স্থাপন করা হবে। বাপেক্স ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে দেশীয় খনিজ ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে দেশীয় প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরোও বলেন, বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনাময় গ্যাস-পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ উত্তোলনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে টেকসই ও নিরাপদ করতে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে ক্রমান্বয়ে মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভর জ্বালানিনীতি গ্রহণ করা হবে। বিশেষ জোর দেওয়া হবে জল-বিদ্যুৎ উৎপাদনে। খালেদা জিয়া প্রণীত বিএনপির ভিশন-২০৩০-এ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে ঘোষিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে বিদ্যুৎ খাতে যে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে জ্বালানি আমদানি সংকট বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকার দেশের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির ব্যাপারে কাতার বা ওমানের সঙ্গে পুরো জ্বালানি চাহিদা মেটানের মতো দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চুক্তি না করে অংশ বিশেষ সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্পট জ্বালানি বাজার থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সাত ডলারে যে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে তা এখন স্পট মার্কেট থেকে ৩৮ ডলারে পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে। এতে চাপ বাড়ছে ডলারের রিজার্ভে।