আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস লক্ষ্য নাগালে পেয়েও বড় হার বাংলাদেশের

লক্ষ্য নাগালে পেয়েও বড় হার বাংলাদেশের


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৭, ২০২২ , ৪:১১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে প্রতিবেদক : লিটন দাসদের মতে, টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্যের একটা সীমা আছে। পাকিস্তানকে ওই সীমার মধ্যে রাখেন বোলারর। রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও ১৬৭ রান তোলে পাকিস্তান। কিন্তু মিডল অর্ডারে হঠাৎ ধসে নাগালে লক্ষ্য পেয়েও ২১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসান বিশ্রামে থাকায় নেতৃত্বভার পাওয়া নুরুল হাসান শুরুতে বোলিং নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫২ রান যোগ করেন। অধিনায়ক বাবর ২৫ বলে চারটি চারে ২২ রান করে মিরাজের বলে ফিরে যান। তিনে নেমে শান মাসুদ খেলেন ২২ বলে ৩১ রানের ইনিংস। তিনি চারটি চার ও এক ছক্কা তোলেন। নাসুমের শিকার হওয়ার আগে রিজওয়ানের সঙ্গে ৪২ রান যোগ করেন। পাকিস্তানের পরের ব্যাটাররা রান পাননি। হায়দার আলী (৬), ইফতিখার আহমেদ (১৩) ও আসিফ আলী (৪) ব্যর্থ হলেও ওপেনার রিজওয়ান ৫০ বলে ৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও দুটি ছক্কা। জবাব দিতে নেমে মেক শিফট ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদি মিরাজ ২৫ রান যোগ করেন। মিরাজ ফিরে যান ১১ বলে এক ছক্কায় ১০ রান করে। সাব্বির করেন ১৮ বলে ১৪ রান। দলের ৩৭ রানে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ৫০ রানের ভালো জুটি দেন। দলকে তারা ভালো কিছুর আশাও দেখাচ্ছিল। কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারে লিটন ২৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করে আউট হন। দলের রান তখন ৮৭। পরের বলেই আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন। চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাথার ওপর রান তাড়ার বোঝা নিয়ে ব্যাট তুলতেই আউট হন আফিফ হোসেন। তিনি করেন ২৩ বলে ২৫ রান। অধিনায়ক সোহান ৮ করে আউট হতেই ১০১ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তাসকিন ও নাসুম ফেরার পর একা লড়াই করে হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কিছু করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহর জায়গায় দলে আসা ইয়াসির রাব্বি। তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ বলে ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। হার নিশ্চিত হওয়ার পর হ্যারিস রউফের শেষ ওভারে তিনি নেন ২০ রান। বাংলাদেশের স্কোর বোর্ড ওঠে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান।
বাংলাদেশের হারে প্রাপ্তি কেবল লিটন-ইয়াসিরের আশা দেওয়া ব্যাটিং ও তাসকিন আহমেদের বোলিং। ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। স্পিনার নাসুম ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রানে নেন। যদিও পরের ম্যাচে অনিশ্চিত তিনি। পাকিস্তানের হয়ে পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। পেসার দাহানি ২৪ রানে একটি ও স্পিনার নওয়াজ ২৫ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট।