আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব কারাবন্দী অ্যালেস ও রাশিয়া-ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন পেল শান্তিতে নোবেল

কারাবন্দী অ্যালেস ও রাশিয়া-ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন পেল শান্তিতে নোবেল


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৭, ২০২২ , ৫:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন। বেলারুশের মানবাধিকারকর্মীর পাশাপাশি রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস। আজ শুক্রবার অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০২২ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করে। এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন বেলারুশের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি (৬০) এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন। বেলারুশের মানবাধিকারকর্মীর পাশাপাশি রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস। নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বেলারুশের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কির নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি বর্তমানে বিচারপূর্ববর্তী বন্দিদশায় আছেন। ১৯৯৬ সালে বেলারুশে মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা’ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। ভায়াসনা শব্দের অর্থ বসন্ত। বেলারুশের শাসক আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিল অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কির মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজও এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ও দনবাসে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে আসছে সংগঠনটি।
এছাড়া রাশিয়ার প্রাচীন মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এ বছর যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। এ বছরের শুরুর দিকে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসা সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। মেমোরিয়াল মূলত সোভিয়েত আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হওয়া লোকজনের তথ্য নিয়ে কাজ করত। রাশিয়ার বিদেশি গুপ্তচর আইন-২০১২ লঙ্ঘনের দায়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট মেমোরিয়ালের শাখাসমূহ বন্ধের নির্দেশ দেন। রায় যখন ঘোষণা করা হয়, আদালতেই অনেকে এর প্রতিবাদে ‘লজ্জা’, ‘লজ্জা’ বলে ওঠেন।