চ্যালেঞ্জের নানা চেহারার সামনে সাংবাদিকতা : শ্যামল দত্ত
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ৩:৪৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : হাড়কাঁপানো শীতেও অন্যরকম উষ্ণতা ছড়িয়েছে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত লিট ফেস্ট প্রাঙ্গণে। ঘন কুয়াশা ভেদ করে বেশ সকালেই শুরু উৎসবের দ্বিতীয় দিন। শুক্রবার সকাল ৯টায় সরদার আফসার উদ্দিনের সুফি সংগীত পরিবেশনের শুরু হয় উৎসব। এরপর উদ্ভাবনী আলাপে মগ্ন হন বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একই সঙ্গে তিনটি সেশনের মধ্যে ‘আগামীর আখ্যান’ নিয়ে আলাপে অংশ নেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন।
বেলা ১১টায় শুরু হয় দেশবরেণ্য সাংবাদিকদের নিয়ে ‘চাপের মুখে সাংবাদিকতা’ সেশন। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তানিম কবিরের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মহসীন হাবিব। ‘চাপের মুখে সাংবাদিকতা’ সেশনে সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্ত বলেন, নতুন একটি বিষয় মিডিয়া লিটারেসি। পত্রিকা বা টিভিতে প্রকাশিত সংবাদ কোনটি পাঠক বিশ্বাসযোগ্য বলে ধরে নেবে, সেই জায়গায় কিন্তু আমাদের ঘাটতি রয়ে গেছে। সেটিও একটি চাপ। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। প্রেস ক্লাব, সম্পাদক পরিষদ বা অন্য কোনো সংগঠন বড় কথা না। কে কী রোল প্লে করলো সেটাই বড় কথা। সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্চ প্রসঙ্গে শ্যামল দত্ত বলেন, চ্যালেঞ্জের নানা রকম চেহারা আমাদের সামনে বিদ্যমান। বিপ্লব এসেছে বিশ্ব জুড়ে, সেটা হচ্ছে মোবাইল টেকনোলজি।
চাপ বহুজাতিক কোম্পানি থেকেও আছে। আমাদের অনেক ধরনের প্রত্যাশা আছে। মুক্তিযুদ্ধ, এই জায়গায় আমাদের ফিরতে হবে। এই চেতনায় ফিরলেই আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবো। মুস্তাফিজ শফি বলেন, রাজনৈতিক-সামাজিক, আইনি বা অর্থনৈতিক ইস্যুতে সাংবাদিকতা যখনই চাপে পড়েছে তখনই বিকশিত হয়েছে। সাংবাদিকতা হলো নেশা, এ নেশা ছাড়া তো সাংবাদিকতা হয় না। তিনি আরও বলেন, দৃশ্যমান শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি, মামলা হোক, জেলে যেতে রাজি আছি। তবে অদৃশ্য শক্তির কারণে সাংবাদিকদের জীবন হুমকির মুখে। সে জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজকে সহনশীল করতে হবে। সমাজে সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার।