বেড়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব, অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৪, ২০২৩ , ৪:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। শীতের প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে কিউলেক্স মশার প্রজননও বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে কিউলেক্সের পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কিউলেক্স মশার প্রজনন বাড়তে শুরু করে। এটা মার্চে ভয়াবহরূপ ধারণ করে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত কিউলেক্সের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ থাকতে হয় নগরবাসীকে। এ বছর ইতোমধ্যে কিউলেক্সের ধকল শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোয় আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে নগরবাসীর। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার নর্দমা ও বক্সকালভার্ট রয়েছে। যেগুলোতে দুই সিটি মশার ওষুধ ছিটাতে পারে না। পাশাপাশি প্লাস্টিক দ্রব্য সামগ্রী, পলিথিন, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন আবর্জনায় ওই ড্রেনগুলো ভরাট থাকে। দুই ভবনের মাঝখানের জায়গাগুলো আবর্জনার ভাড়াড়ে পরিণত হয়েছে। এজন্য এসব নর্দমা দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় না। জমাটবদ্ধ এসব পানিতে কিউলেক্স ভয়াবহরূপে বংশ বিস্তার করছে। এসব স্থানে মশার প্রজনন ধ্বংস করতে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আর জলাশয়, খাল, নর্দমা ও যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা প্লাস্টিক দ্রব্যসামগ্রী ও ডাবের খোসার পানিতে ভয়াবহরূপে মশার বংশ বিস্তার ঘটাচ্ছে। এসব কারণে মশক নিধনে দুই সিটির পর্যাপ্ত অর্থ খরচ করলেও নগরবাসীকে মশার ধকল সইতে হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি সূত্রে আরও জানা যায়, মশার লার্ভা নিধনে লার্বিসাইডিং এবং উড়ন্ত মশক নিধনে ফগিং কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু হয়েছে ২০০০ সাল থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে রাজধানীর জলাশয়ে হাঁস, ব্যাঙ ও গাপ্পি মাছ ছেড়ে লার্ভা নিধনের চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে। আর কদমফুল গাছ রোপণ করে সেখানে ফিঙেরাজা পাখির আগমন ঘটিয়ে উড়ন্ত মশক নিধনের প্রচেষ্টা চলেছে। এছাড়া ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্গম জলাশয়ে ওষুধ ছিড়িয়ে মশার উপদ্রব কমানোর তৎপরতাও চোখে পড়েছে নগরবাসীর। এতকিছুর পরও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো সুফল মেলেনি। মশক নিধন নিয়ে বলা চলে সিটি করপোরেশন ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকারি অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ আমলে নিচ্ছে না এমন অন্তহীন অভিযোগ দুই সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বাড়লে কিউলেক্স মশার কামড়ানোর প্রবণতা বাড়ে। এখন সেই অবস্থা বিরাজ করছে। আর এই সময়ে শীত কমে যাওয়ায় মানুষ এখন খোলামেলা পোশাক পরিধান করছে। এই ধরনের পোশাক কিউলেক্স মশার কামড়ানোর জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করছে।