কোনও সভ্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই : কাদের
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৩, ২০২৩ , ৪:০৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর কোনও সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সরকার ব্যবস্থা নেই। যারা সংবিধানকে নির্বাসনে দিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত, তারা মূলত জনগণকে আড়ালে রেখে চিহ্নিত গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যস্ত। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কোনও মানুষ তাদের এই অপরাজনীতির বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘চিরাচরিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি অতীতের মতো আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রধান প্রতিবন্ধক। সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন হবে। সেজন্য সকল রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অতীতে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মতো পণহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বর্তমানেও তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রধান প্রতিবন্ধক। পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড়ে সংঘটিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলায় তারা জড়িত। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দায়িত্বশীল নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছে এবং বিশেষত তাদের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও আইডি থেকে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।