সিএনএনে বিশেষ সাক্ষাৎকার : আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসনকে সমর্থন করি না’
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২১, ২০২৩ , ৪:২১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমে যেকোনও সংকট সমাধান সম্ভব। যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। ইউক্রেনে চলা যুদ্ধে বাংলাদেশ কেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রথমেই প্রশ্ন রাখেন সিএনএনের সাংবাদিক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও দেশ একা যুদ্ধ শুরু করতে পারে না। আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসনকে কখনই সমর্থন করি না। আলোচনার মধ্যেই শান্তি রয়েছে। সংকট নিরসনে পুরো বিশ্বকেই উদ্যোগ নিতে হবে। মস্কো ও কিয়েভের সংঘাতের কারণে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে। নিজেদের ভূখণ্ড নিয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকটা দেশরই।
রাশিয়ার মিত্র বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই কী মস্কোর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না ঢাকা? এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, আমারা সঙ্গে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে যারা আমাদের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন রাশিয়া, ভারত সবারই সঙ্গেই। হাসিনা বলেন, চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করছে আমাদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তারা। কিন্তু আমরা কারও ওপর নির্ভর নই। শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও বেইজিংয়ের ঋণের ফাঁদে পড়ে ভুগতে হচ্ছে দেশটিকে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। যে প্রজেক্ট আমাদের দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখে সেগুলো অনুমোদন দিই। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংককে (এডিবি) প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমার মনে হয় না শ্রীলঙ্কার অবস্থায় যাবে আমাদের দেশ।
আমরা নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। অপ্রয়োজনীয় কোনও ঋণ বা প্রকল্প হাতে নিই না। সিএনএনের সাংবাদিক বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ে থাকার পরও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না মিয়ানমার। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে কী ধরনের সহায়তা আশা করে? শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে নেপিদোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি। সংকট সমাধানে আমরা নিজেরাও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনও সহযোগিতা করছে না। বাংলাদেশ চীনকেও অনুরোধ করেছে যেন নেপিদোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আসিয়ানের অন্যান্য দেশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে, তারাও যেন এগিয়ে আসে। আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখের বিষয় হলো, সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমার কারও কথা শুনছে না। তারা টালবাহনা করে আসছে প্রথম থেকেই। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। নানা অনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।