আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ বিসিসি নির্বাচন : নানাবিধ প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা

বিসিসি নির্বাচন : নানাবিধ প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৩, ২০২৩ , ৯:০৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বরিশাল অফিস : বরিশালে উন্নয়নের কথার ফুলঝুঁড়ি ছিটিয়ে নগরবাসীর ভোট প্রার্থনা করছেন মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানাবিধ প্রতিশ্রুতি, শোনাচ্ছেন আশারবানী। বলছেন উন্নয়নের সর্বোচ্চ শহর হবে বরিশাল নগরী। বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর আমলে সরকারী কোন বরাদ্দ না আসায় উন্নয়ন থেকে প্রায় পাঁচটি বছর পিছিয়ে গেছে নগরবাসী। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন রনিয়াবাত নৌকার প্রার্থী হওয়ায় নতুন করে কিছুটা আশার আলো দেখছেন নগরবাসী। তিনি বিজয়ী হলে নগরবাসীর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়ন হবে বলে ইতোমধ্যে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনপূর্ব সাদিকের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার অনেকটা সতর্ক ভোটাররা। ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও তার সহধর্মিনীর প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ার মতো। পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা’র প্রার্থীরা। এছাড়া নির্বাচনী শেষ লড়াইয়ে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন কমিশনকে এরিয়ে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানাবিধ প্রতিশ্রতি। আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আমি উন্নয়ন করার জন্যই এসেছি, শপথ করে বলছি আমি নির্বাচিত হলে নগরীর সকলকে সর্বাত্মক সেবা দেব, নগরীর উন্নয়নে কাজ করব এবং সবার জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে। জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, মানুষ নাঙ্গলকে পছন্দ করে। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়ে কিছুটা উন্নয়ন হলেও এরপরে আর কোন উন্নয়ন হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে বরিশালকে পরিচ্ছন্ন তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করব। আমি আশাবাদী যে সকল মানুষ মিলে আমাকে নির্বাচিত করবে। ইসলামী আন্দোলন হাতপাখার মনোনীত প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, আমি এতোটুকু বুঝি যে মানুষ আস্থার স্থান পেয়েছে, মানুষ জানে যে কার থেকে কতটুকু পেতে পারে তাই আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে বিগত দিনে বরিশালে যে উন্নয়ন হয়নি তার চেয়ে বেশি করার চেষ্টা করব। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। নগরবাসী জানে ইতোমধ্যেই দুদক আমাকে চিঠি দিয়েছে। আমি যদি এই মামলায় জেলেও যাই সেখানে বসেও নির্বাচন করব। তবে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য না করলেও তারা প্রার্থী বাছাইয়ে বিগত সময়ে বিভিন্ন দলীয় মেয়রদের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করছেন। অন্যান্য সিটির চেয়ে বরিশাল সিটি উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে থাকায় তারা এবার যোগ্য মেয়র বেছে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা জানা গেছে, তারা এবার অনেকটাই সতর্ক। যাকে দিয়ে ভবিষ্যতে বরিশালের উন্নয়ন হয় এমন প্রার্থীকেই তারা নির্বাচিত করবেন। প্রসঙ্গত: বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২১ মে। আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে। আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।