আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস হার্ভার্ডে যা করে প্রশংসায় ভাসছেন বাবর-রিজওয়ান

হার্ভার্ডে যা করে প্রশংসায় ভাসছেন বাবর-রিজওয়ান


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৪, ২০২৩ , ২:৫২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : শিক্ষককে কুরআন উপহার দিচ্ছেন রিজওয়ান, সহপাঠীর সঙ্গে বাবর। ছবি: ক্রিকেট পাকিস্তান পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রামে নিয়েছেন, যা দেশটির ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম ঘটনা। প্রোগ্রামটিতে বিশেষভাবে বিজনেস অফ এন্টারটেইনমেন্ট, মিডিয়া এবং স্পোর্টর্সের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ক্রিকেট পাকিস্তানি জানিয়েছে, গত ৩১ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত বাবর ও রিজওয়ান ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ক্যাম্পাসে ক্লাসে অংশ নেন। যদিও উভয় ক্রিকেটারই মাঠে তাদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তবে অন্য ক্ষেত্রেও তাদের অনন্য গুণাবলী এবং আগ্রহ রয়েছে। যেমন রিজওয়ান, বিশেষ করে তিনি বিভিন্ন দেশে তার ক্রিকেটীয় সফরের সময় বিভিন্ন মসজিদে তার বক্তৃতার মাধ্যমে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃত হয়েছেন।

তার বাস্তব দৃষ্টান্ত রাখলেন হার্ভার্ডেও। অনুষ্ঠানের শেষ দিন রিজওয়ান হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রামে তার শিক্ষককে একটি পবিত্র কুরআন উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। এর মাধ্যমে রিজওয়ান শুধু সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি, বরং তার বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি তার অঙ্গীকারও প্রদর্শন করেছেন।

এদিকে হার্ভার্ডে বাবর আজমের উপস্থিতি তার সহপাঠীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বাবরের এক নারী সহপাঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন এবং ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘আমার পরবর্তী ক্যারিয়ারে আমি নিজেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে দেখছি।’

তার এই মন্তব্যটি প্রকাশ করে যে, ক্রিকেটের প্রতি বাবরের আবেগ এবং প্রতিভা তার চারপাশের লোকদের উপর কী প্রভাব ফেলেছে। সহপাঠীদের সাথে জড়িত হয়ে এবং খেলাধুলায় তাদের আগ্রহকে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে বাবর বন্ধুত্বের অনুভূতি জাগিয়েছেন এবং সম্ভবত তার সমবয়সীদের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি একটি নতুন আবেগের জন্ম দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই ক্রিকেটারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ সম্ভবত নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের তাদের ক্রীড়া ক্যারিয়ারের পাশাপাশি শিক্ষা লাভে অনুপ্রাণিত করবে।