অবশেষে ওয়ানডেতে ভারতকে হারাতে সক্ষম হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৩০, ২০২৩ , ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ভারতকে হারিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর একে একে কেটে গেলো প্রায় চারটি বছর। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে অনেকগুলো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেও কোনো জয় পায়নি ক্যারিবীয়রা। প্রায় চার বছর পর অবশেষে টিম ভারতকে ওয়ানডেতে পরাজয়ের স্বাদ দিতে সক্ষম হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার রাতে ৮০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে হারিয়েছে শাই হোপের দল। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০.৫ ওভারে ১৮১ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাব দিতে নেমে ৪টি উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তবে শাই হোপ এবং কিসি কার্টির দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে ৩৬.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাছাই পর্বে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের মত দেশের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। একমাত্র জয়টি (সুপার সিক্সে) পেয়েছিলো ওমানের বিপক্ষে। ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে ক্যারিবীয় ক্রিকেট। একের পর এক পরাজয়ের ফলে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। যদিও বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়েছে। প্রথম ওয়ানডেতেও বড় ব্যবধানে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য ভারতীয় দল খেলতে নেমেছিলো নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ছাড়াই। হার্দিক পান্ডিয়া নেতৃত্ব দেন দলকে। রোহিতের সঙ্গে বিশ্রামে ছিলেন বিরাট কোহলিও। মূলত বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার অংশ হিসেবেই এই পরিবর্তন ভারতীয় দলে। কিন্তু পরীক্ষা করতে গিয়ে ভালোই ধাক্কা খেলো ভারত। টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ইশান কিশান এবং শুভমান গিল প্রথম উইকেটে ৯০ রানের জুটি বেঁধেছিলেন। ৩৪ রানে গিল নিজের উইকেটটি ছুঁড়ে দিয়ে আসতেই খেলা বদলে যায়। ৯০ রানে ১ উইকেট থেকে সোজা ১৪৮ রানে ৭ উইকেটে পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। সেট ব্যাটার ইশান কিশান আউট হন ৫৫ রান করে। সাঞ্জু স্যামসন, যাকে দলে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে এত আলোচনা, তিনি করলেন মাত্র ৯ রান। এই ম্যাচে উপরে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল অক্ষর প্যাটেলকে। তিনি করলেন ১ রান। আরও একটি ইনিংসে ব্যর্থ হলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করলেন ৭ রান। সুর্যকুমার যাদব- যিনি কিনা বিশ্বকাপের দলে ঢোকার জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন, তিনিও ২৪ রান করে আবারও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন অভিজ্ঞ রবিন্দ্র জাদেজাও। তার সংগ্রহ ১০ রান। শার্দুল, কুলদিপরাও শেষদিকে বিশেষ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ভারতের ইনিংস শেষ হল মাত্র ১৮১ রানে, ৪০.৫ ওভারে। ক্যারিবীয় বোলার গুদাকেশ মোতি এবং রোমারিও শেফার্ড ঝড় তুলেছিলেন ভারতীয় ইনিংসে। ৩টি করে উইকেট নেন তারা দু’জন। ২ উইকেট নেন অ্যালজারি জোসেফ। ১টি করে উইকেট দখল করেন জাইডেন সিলস এবং ইয়ানিক কারিয়াহ। জবাব দিতে নেমে ব্রেন্ডন কিং এবং কাইল মায়ার্স মিলে সূচনাটা ভালো করেন। তবে ব্রেন্ডন কিং ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। কাইল মায়ার্স করেন ৩৬ রান। অ্যালিক আথানাজি ৬ রান করে আউট হয়ে যান। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন শিমরন হেটমায়ার। তিনি করেন ৯ রান। ৯১ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর বাকি কাজ সেরে নেন শাই হোপ এবং কিসি কার্টি। এ দু’জনও ৯১ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন। ৮০ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন শাই হোপ। কিসি কার্টি অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে।