অবরোধের কারণে রাজধানীর স্কুলগুলোতে উপস্থিতি কম
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ৫:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
মোস্তাফিজুর রহমান : রাজধানী ঢাকার বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকায় কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ক্লাস হচ্ছে না। কোথাও ক্লাস হলেও উপস্থিতি তুলনামূলক নয়। অবশ্য এ নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। রাজধানীর রামপুরায় উলন এডভান্সড নিউ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুল মৃধা বলেন, হরতাল-অবরোধে তার স্কুলে উপস্থিতির তেমন কোনো হেরফের হয়নি। স্কুলের উপস্থিত প্রায় শতভাগ । ওই
স্কুলের সকালের সিফটের শিক্ষিকা শিউলী আক্তারও জানান তাদের স্কুলের উপস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। তিনি আরো জানান, এমনিতে অনেক বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠতে পারে না বলে কিছুটা উপস্থিতি কম। তবে এটা স্বাভাবিক দিনের মতোই। তবে ক্লাসের চেয়েও বড় শঙ্কা আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শেষ করা নিয়ে বেশ চিন্তার কথা জানালেন প্রধান শিক্ষক বজলুল মৃধা। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দীর্ঘ হতে থাকলে এসব পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশে অনুচ্ছিুক বলেন, গত সপ্তাহে হরতাল-অবরোধে স্কুলে উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। এ সপ্তাহের শুরুতে আবার অবরোধ। তবে তাদের স্কুলেও উপস্থিতি ভালো। ৮০/৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সব ক্লাসে উপস্থিত রয়েছে।
এদিকে, সেগুনবাগিচা হাইস্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল প্রায় স্বাভাবিক। মতিঝিলে অবস্থিত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে জানা গেল, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম। তবে ক্লাস হয়েছে। বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে পাওয়া গেল। সে বলল, ক্লাসে আজ উপস্থিত ছিল ১৫ জন। তাদের ক্লাসে শিক্ষার্থী ৭০ জনের মতো। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাদের ক্লাসে ৬০ জনের মতো শিক্ষার্থী। কিন্তু ক্লাসে উপস্থিত ছিল ১৪ জন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুল হাসান বলেন, কম উপস্থিতি থাকলেও তাঁরা ক্লাস নিচ্ছেন। যারাই আসছে, তাদের নিয়েই ক্লাস হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শেষ করতে চাইলে শুধু শুক্র ও শনিবার এসব পরীক্ষা বা মূল্যায়ন কাজ করে তা শেষ করা কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ, এ ক্ষেত্রে মূল বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষা নিয়ে কিংবা সব বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে তা শেষ করা সম্ভব।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত আগের পরিকল্পনামতোই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। দেখা যাক, সামনে পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।