রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : চলমান রাজনৈতিক অস্থিতার মধ্যে এ মাসেই সারা দেশে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। স্কুল ছাড়াও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। লাগাতার হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শেষ প্রান্তিকের মূল্যায়নও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে এই দুই শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের বার্ষিক মূল্যায়ন আজ ৯ নভেম্বর শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানানো হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী হরতাল কিংবা অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না তাদেরকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। বরং ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে।
ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক ফকির সাইফুল ইসলাম ও একই বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক নূরুল ইসলামের সঙ্গে তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিয়ে কথা হলে তারা জানান, বিএনপি ও সমমানা দলগুলোর হরতাল ও অবরোধের কারণে তাদের স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপিস্থিতি একেবারেই কম। যা ১০ শতাংশেরও নিচে। কথা হয় ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মানহানুর বিনতে মামুনের মা মোসাম্মাৎ লিজা আক্তার ও প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা কহিনুর আক্তারের সঙ্গে তারা জানান, তারা বেশ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে আসতে অজানা আতঙ্ক কাজ করে। কখন কী হয়ে যায়।
এদিকে, সেগুনবাগিচা হাইস্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল প্রায় স্বাভাবিক। মতিঝিলে অবস্থিত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে জানা গেল, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম। তবে ক্লাস হয়েছে। বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে পাওয়া গেল। সে বলল, ক্লাসে আজ উপস্থিত ছিল ১৫ জন। তাদের ক্লাসে শিক্ষার্থী ৭০ জনের মতো। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাদের ক্লাসে ৬০ জনের মতো শিক্ষার্থী। কিন্তু ক্লাসে উপস্থিত ছিল ১৪ জন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুল হাসান বলেন, কম উপস্থিতি থাকলেও তাঁরা ক্লাস নিচ্ছেন। যারাই আসছে, তাদের নিয়েই ক্লাস হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত আগের পরিকল্পনামতোই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। দেখা যাক, সামনে পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।