অসহায়দের পাশে আজীবন কাজ করতে চান সিনথিয়া ভূইয়া
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ২০, ২০২৩ , ২:০৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: লাইফ স্টাইল
দিনের শেষে প্রতিবেদক : সিনথিয়া ভূইয়া। ছোট সময় পরিচিত ছিলেন মো: সিদ্দিক ভূইয়া হিসেবেই। স্কুল জীবন থেকেই নানা বঞ্চনা-আর লাঞ্চনার মধ্য নিয়ে বড় হতে হয়েছে তাকে। প্রতি মুহুর্তে সম্মুক্ষীন হতে হয়েছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জর। সুফি বংশের বাবা হাজী মো: মুনতাজুদ্দিন ভূইয়া রিজভীর ছেলেই আজকের প্রতিষ্ঠিত সিনথিয়া ভূইয়া। মাতা: তাহমিনা বেগম। জন্ম গ্রহণ করেন- রাজধানীর খিলঁগাও গোড়ানে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সিনথিয়া তৃতীয়। ব্যবসায়ী বাবা যখন বিভিন্নভাবে ব্যবসায় নিঃস্ব, তখন অভাবের তারণায় কোন রকম এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন সিনথিয়া। সে সময় অনেক কষ্টে প্রশিক্ষণ নেন যুব উন্নয়ন (যুবক) ডেইরি ফার্মের উপর। প্রশিক্ষনের পর অনেক বছর চালিয়েছেন ‘গরুর খামার’।
১৯৯৮ সালের বন্যায় সেখানেও আসে বিপত্তি। বন্ধ হয়ে যায় গরুর খামারটি। তখন হতাশ না হয়ে, আবারও ঘুরে দাঁড়াতে নতুন কিছু করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন সিনথিয়া। অনেক পরিশ্রম আর কষ্টে ২০০৭ সালে ‘আড়ং’-এ প্রোডিউসার হিসেবে যোগ দেন তিনি। তারপর শুরু করেন নিজের যোগ্যতা প্রকাশের লড়াই। নিজের মেধা আর পরিশ্রমে আস্তে আস্তে রুপ নেয় ‘ভূইয়া ফ্যাশনে’। এখনও কাজ করছেন দেশের স্বনামধন্য ফ্যাশন ব্যান্ড ‘আড়ং’ সাথে। ‘আড়ং’ এর সহোযোগিতা এবং নিজের মেধা, সততা আর পরিশ্রমের ফলেই ‘ভূইয়া ফ্যাশন’ আজ নিজেদের শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে। শুধু তাই নয়, কাজ করে যাচ্ছেন সমাজসেবা মূলক। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। টান্সজেন্ডারদের সহযোগিতা এবং সমাজের দারিদ্র মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি।
টান্সজেন্ডাদের লেখাপড়ার খরচ। তাদের চিকিৎসা সেবাসহ নানা কর্মকান্ডেই সিনথিয়ার ভূমিকা অতুলনীয়। এখানেই ক্ষান্ত হতে চান না তিনি। তাদের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চান আজীবন। এমনটাই জানালেন তিনি। দিনের শেষেকে তিনি বলেন, আমি আমার চেষ্টায় কাজ করে চলেছি। তবে আন্তর্জাতিকভাবে যদি একটু সহযোগিতা পাই তাহলে অসহায় মানুষের পাশে আরো বড় পরিসরে কাজ করে যেতে পারবো। উল্লেখ্য- ‘সবাই এক সাথে চলবো, সবাইকে নিয়েই ভালো থাকবো’, এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু হয় ভুইয়া ফ্যাশনের। ভূইয়া ফ্যাশন শুধু একটি নাম কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান নয়, অসহায় এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর একটা বাসস্থানও বলা চলে। মাত্র ৬ জন কর্মচারি এবং ৩টি সেলাই মেশিন নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন ৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি। কর্মসংস্থান বেড়েছে- ঢাকা, সাভার, নরসিংদী, কুমিল্লা, চিটাগং, রামু, কক্সবাজার এবং মানিকগঞ্জেও।