ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে জনগণ সর্বস্বান্ত : রিজভী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ৩:৪৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে আজ জনগণ সর্বস্বান্ত। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থবিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন। দুপুরে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সম্পূর্ণ একদলীয়—একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মসনদের অবৈধ মেয়াদ প্রলম্বিত করে আরো বেপরোয়া হয়ে জনগণের ওপর নতুন মাত্রায় জুলুম চালাচ্ছে ডামি সরকার। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, জানমাল, মানবাধিকার, জননিরাপত্তা লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। তাদের অনঢ়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতার আঘাতে গণতন্ত্র কবরে শায়িত। রাষ্ট্রের পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক, উচ্ছিষ্টভোগী, দালাল ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষ যেন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধীদল নিষ্পেষণ, দলন,গ্রেপ্তার, ত্যা আর সাধারণ জনগণের রক্তচুষে খাওয়াই এখন মাফিয়া সরকারের ব্রত। জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস দশা। এদেশে স্বস্তিকর জীবন যাপন বলে কিছু নেই। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হয়েছে। ‘গ্যাস নাই, চুলা ঠান্ডা, রাস্তায় যানজট, বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং, দুর্গন্ধময় ওয়াসার ময়লা পানি, বাজারে আগুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সড়কে মৃত্যু, খুন, ডায়রিয়াসহ নিত্যপণ্যের দাম আওয়ামী সিন্ডিকেট লাগামহীন ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, বিশবিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সভ্যতার জন্য বৈরী সংগঠন ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছে নারীর শ্লীলতাহানিসহ সন্ত্রাস আর নৈরাজ্যের অভয়ারণ্য। সকল বিশ্ববিদ্যালয় এখন রক্তাক্ত এবং নারীদের জন্য বিপজ্জনক স্থান। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা মাফিয়া-সিন্ডিকেটের হাতে বর্গা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে জনগণ। মাহে রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত ১০ দিনে রমজানসংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, শুল্ক কমানোর পরে ওই ৪টি পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমার কথা, কিন্তু কমেনি তো বটেই বরং এই চারটি পণ্যের দাম কেজিতে ১০/২০ টাকা বেড়ে গেছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এখন খুচরা বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও সেই দরে কিনতে হচ্ছে চিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটির জড়পদার্থে পরিণত হয়েছেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যেভাবে চালানো হয় তিনি (কাদের ) সেভাবেই চলেন। যে দেশে আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের অস্তিত্ব থাকে সে দেশে উগ্রবাদ খুঁজতে যাওয়া মূর্খের স্বর্গে বাস করা। জনগণপীড়ক অত্যাচারী, ন্যায়বিচারশুন্য প্রশাসন, স্বার্থপরলোভী কুকর্মাসক্ত আওয়ামী লীগ মাত্র তিন মাসেই বেছে বেছে বিএনপির ৩৪ জন নেতাকর্মীকে খুন করেছে। সরকারি মদতে ও অবহেলায় কারাগারে ১৫ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা কাকে উগ্রশক্তি বলেন? আপনি তো দখলদার মাফিয়া টিমের মুখপাত্র।