আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// রমজানের নিত্যপণ্য : জটিলতা ছাড়াই আমদানি শেষ, তবু অস্থিতিশীল বাজার

রমজানের নিত্যপণ্য : জটিলতা ছাড়াই আমদানি শেষ, তবু অস্থিতিশীল বাজার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৫, ২০২৪ , ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বৈশ্বিক নানা সংকটেও রমজানকে সামনে রেখে সব নিত্যপণ্যের আমদানি শেষ। গেলো তিন মাসে আমদানি করা এ রেকর্ড পরিমাণ ৩৬ লাখ মেট্রিক টন তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর থেকে খালাস করে নিয়েছেন আমদানিকারকরা। কোনো রকম জটিলতা কিংবা হয়রানি ছাড়াই এসব পণ্য সরবরাহ হলেও কার কারসাজিতে বাজার এখনও নিয়ন্ত্রণহীন। খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর। চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রমজান সামনে রেখে গত ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৫ মেট্রিক টন দশ ধরনের ভোগ্যপণ্য ডেলিভারি হয়েছে। বন্দরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি ভোগ্যপণ্য ডেলিভারি। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৬ কন্টেইনারে করে ১ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আসলেও বাকি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে বিশাল আকৃতির বাল্ক জাহাজে করে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত ভোজ্যতেলের পাশাপাশি ৫ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন বীজ ডেলিভারি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল জানান, রমজানকে কেন্দ্র করে প্রচুর পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে। এগুলো বন্দরেও চলেও এসেছে। রমজানে যাতে কোনো প্রকার জটিলতা বা ঝামেলা না হয়, সেজন্য এসব পণ্য দ্রুত খালাসও করে দেয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল ছাড়াও ১৫ লাখ ৯ হাজার মেট্রিক টন গম, ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত এবং ১৩ হাজার ১৬৯ মেট্রিক টন রিফাইন্ড চিনি, ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, ৪৫ হাজার ৮৩৮ মেট্রিক টন খেজুর, ১৫ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন আদা, ৪০ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন রসুন এবং ১ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ডেলিভারি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। আর চলতি অর্থবছরের গত ৭ মাসে ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকার শুধুমাত্র চিনি ও ভোজ্যতেল এবং খেজুর ও ছোলা আমদানি হয়েছে। এতে কাস্টমসের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩১ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, রমজান মাস যতদিন থাকবে, চেষ্টা করা হবে যাতে কোনো প্রকার বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সব পণ্য বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রমজানে চাহিদার চেয়েও ভোগ্যপণ্য বেশি আমদানি হয়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টার মধ্যে খালাস এবং ডেলিভারি প্রক্রিয়া শেষ করেছে বলে দাবি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে এরপরও বাজারে পণ্যের দাম না কমায় ক্যাব আমদানিকারক এবং শিল্পমালিকদের দুষছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, দাম যাতে না বাড়ে বা ভোক্তারা যাতে ভোগান্তির শিকার না হয়, সেজন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সবসময়ের মতো গুরুত্বসহকারে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার সাবেরী বলেন, তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, গুটি কয়েক আমদানিকারক এবং মিলমালিক এ বাজারকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। বর্তমানে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন নিয়ে একটি, ৫৭ হাজার ৩৯৫ মেট্রিক টন চিনি নিয়ে ২টি এবং ১ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন গম নিয়ে ৫টি জাহাজ বন্দরে পণ্য খালাস করছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। রমজান সামনে রেখে কয়েক দিনের ব্যবধানে মানভেদে কেজিতে আরও ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে খেজুরের দাম। শসা, লেবু ও বেগুনের দামও বাড়ছে লাগামহীনভাবে। সব মিলিয়ে বাড়তি দামে নাজেহাল ক্রেতা।