Warning: file_put_contents(/data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/data/districts.json): failed to open stream: Permission denied in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/covid-19-bd-live.php on line 103
কুরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার - Diner Sheshey কুরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার - Diner Sheshey
Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 124
আজকের দিন তারিখ ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য কুরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার

কুরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৮, ২০২৪ , ৩:৫৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : কুরবানি সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে মসলার বাজার। পুরো মসলার বাজারই এখন সিন্ডিকেটের কবলে। এরাই গত এক সপ্তাহে জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। তবে, চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি হওয়ায় এ মুহূর্তে বাজারে মসলার কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছে কাস্টমস। এর পরও মসলার প্রতিটি পণের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি মসলা ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সে তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ দানা, জিরা, লবঙ্গ, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা। ভোক্তাদের অভিযোগ-কুরবানিতে মসলার চাহিদা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। সেই চাহিদা পুঁজি করে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বছরের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে ৩০ হাজার ৭১৭ টনের বেশি। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন মসলার দাম অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মসলাজাতীয় পণ্যের দাম দুই কারণে বাড়ছে। প্রথমত, দেশে এখন চলছে ডলার সংকট। ডলারের অভাবে এলসি করা যাচ্ছে না। একইভাবে বেড়েছে ডলারের দামও। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। শুক্রবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বড় দানার ভালো মানের প্রতি কেজি এলাচ চার হাজার থেকে চার হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এই এলাচের কেজি বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৮০০ টাকায়। ছোট দানার প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহে একই মানের এলাচ তিন হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে লবঙ্গের দাম ছিল এক হাজার ২০০ টাকা। শুক্রবার একই লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৫৫৭ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। গত সপ্তাহে যে গোলমরিচ প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন তা ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দারুচিনি ৪০০ টাকা, হলুদ ৩১০ টাকা, কালিজিরা ৩২০ টাকা, কিশমিশ ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা আর সাদা সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। ভারতের রফতানির ঘোষণার পরও চট্টগ্রামের বাজারে কোথাও পণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই। বরং প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। পাইকারি বাজারে ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। যা আগে ছিল ৭০ টাকার নিচে। পাইকারি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকার বেশি দামে। খুচরা বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭৫ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মানভেদে পাঁচ টাকা কম-বেশি। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৪ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন এলাচ, ৪১ হাজার ৩৪৬ মেট্রিক টন জিরা, ৩২ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন লবঙ্গ এবং ২৯ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন গোল মরিচ আমদানি হয়েছে। এটি গত বছরের এ সময়ে আমদানির তুলনায় অনেক বেশি। কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাস্টমস থেকে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। যাতে বাজারে কোনো ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয়। মূলত ভারত থেকে জিরা ও এলাচ, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে দেশে লবঙ্গ ও দারুচিনি আমদানি করা হয়। এতদিন এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেখালেও এখন এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি। খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া। এ কারণে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে।

 

 


Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 130