লালপুরে তীব্র লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের জনজীবন অতিষ্ঠ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৭, ২০২৪ , ১২:২৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
লালপুর (নাটোর ) প্রতিনিধি : দেশের উষ্ণতম স্থান নাটোরের লালপুরে আষাঢ়ের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তার ওপর দেড় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের পর এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকায় ভোগান্তিতে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে মানুষ।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন লালপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, অন্তর্ভুক্ত বিদ্যুতায়িত গ্রাম ২০১৭ টি। সঞ্চালন লাইন ৯৬৫ কিলোমিটার। সংযোগপ্রাপ্ত ৭০ হাজার ৬০৯ জন গ্রাহকের সর্বোচ্চ চাহিদা সাড়ে ২৬ মেগাওয়াট। সেখানে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া গেছে ৯ থেকে ১১ মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান না থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলো পড়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। দিন-রাত সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। ফলে শিশু-বৃদ্ধসহ বাড়িতে থাকা অসুস্থ মানুষজনকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরে থাকতে পারছেন না তারা। ফলে গাছের ছায়ায় মাদুর বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এ ছাড়াও খাবার রান্নাসহ ঘরের আনুষঙ্গিক কাজ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। রাতেও বিদ্যুতের একই অবস্থা হওয়ার কারণে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন,সমনে পরীক্ষা, তীব্র গরম আর রাত-দিন মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিদ্যুতের এই অবস্থায় পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। এতে পরিক্ষা দু:চিন্তায় আছি।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন লালপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান চাহিদার থেকে আমরা ৫০ শতাংশেরও কম সরবরাহ পাচ্ছি, তিনি আরো জানান লালপুর জোনাল অফিসে দিনে চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট তার বিপরীতে সরবরাহ পাচ্ছি ১০ মেগাওয়াট, এবং রাতে চাহিদা ২৬ মেগাওয়াট তার বিপরীতে গত রাতে পাওয়া গেছে ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট।
একটি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা জানান, অতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় জনগণ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ফলে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার সরকার জানান অতিরিক্ত গরমের কারণে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর দয়ারামপুর সাব জোনের এ জি এম মনিমুল ইসলাম জানান বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে, কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ড ডেমেজ হয়ে গেছে , তবে কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ঠিক হয়ে যাবে ।