কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: জেলার সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত পরাজিত দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর গ্রামে বকুল সরদার ও আফজাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আলামিন (২২), নিজাম উদ্দিন (৩৫), মোস্তাফিজুর রহমান (২৫), রিপন হোসেন (২২), লিটন (২২), খালেক (৪০), মাহবুবুর রহমান (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৩৫), রাকিবুল ইসলাম (১৯), সাইফুল ইসলাম (১৯), সাইফুল ইসলাম (৪০), মতিউর রহমান (৫০), ওমর আলী (৩২), ওয়াজেদ আলী (৩৫), মিলন হোসেন (২৬), আশরাফ হোসেনকে (৫০)।

স্থানীয়রা জানান, আহতদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমান নামে দুই জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অন্যান্যরা পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হেমায়েতপুর ইউপিতে দুই মেম্বর প্রার্থী বকুল সরদার (ঘুড়ি মার্কা) ও আফজাল হোসেন (মোরগ মার্কা) পরাজিত হন। এরই জের ধরে সকালে গ্রামে ইয়াকুব আলীর বাড়ির ওপর দুই গ্রুপের সমর্থকেরা ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি, ফালা, ইট পাটকেল, রড, চাপাতি ও দেশীয় বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভোট নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।