আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে : প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৭, ২০২৩ , ৪:২৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ভবিষ্যত আর্থিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের’ মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য দূর হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিল গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুর জেলা প্রশাসন এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা এই পেনশন পাবেন না। কারণ, তারা তো চাকরি শেষে কিছু টাকা পান, কিন্তু এর বাইরের জনগোষ্ঠী সর্বজনীন পেনশন পাবেন। সমাজের সবারই কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা উচিত। সেজন্যই সর্বজনীন স্কিম। এর মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য দূর হবে। তিনি বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে উদ্বোধন করা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় থাকছেন না সরকারি চাকরিজীবীরা। তবে, এর বাইরের জনগোষ্ঠী সর্বজনীন পেনশন পাবেন। এর মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য দূর হবে। শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন চালু করা হয়েছে, এর মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি আওয়ামী লীগের একটি অর্জন। আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম তার প্রমাণ। সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রস্তুত করতে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের সব মানুষের জন্য এই পেনশন স্কিম চালু করতে পারা নিঃসন্দেহে বড় উদ্যোগ। ইতিমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে, ঠিকানাবিহীন মানুষের সংখ্যা কমছে। মোট ৬টি স্কিমের মধ্যে আজ চারটি স্কিম চালু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকিগুলো সুবিধাজনক সময়ে চালু করা হবে। ‘এর আওতায় ১৮-৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়সের কেউ ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত প্রতিবছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন স্কিম ভোগ করতে পারবেন’, বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েন, যখন কর্মক্ষমতা থাকে না। তখন এই পেনশন খুব কাজে দেবে। বৃদ্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় ছেলেমেয়েরাও দেখতে চায় না। এখন আর সেই অবস্থা থাকবে না। যারা বয়স্কভাতা পান না। তারাও এই সর্বজনীন পেনশন এর সুবিধা পাবেন। আর কারও কাছে হাত পেতে কারো ঝাড়ি খেতে হবে না। এ সময় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথাও জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষই আমার আপনজন। এই চিন্তা থেকেই দেশ পরিচালনা করছি। বাবার রেখে যাওয়া কাজ যাতে সম্পন্ন করে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে পারি। সেই দোয়া চাই সবার কাছে। দেশের স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না; ব্যর্থ হতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক-মোবাইল-নগদ সব পদ্ধতিতেই এই পেনশন স্কিম এর লেনদেন করা যাবে। এই স্কিমের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত করতে পারবেন। শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন- প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অসচ্ছল ব্যক্তি। মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে গতকাল বুধবার। ওয়েবসাইটের ঠিকানা িি.িঁঢ়বহংরড়হ.মড়া.নফ । এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করা আছে। জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস হয়। ৩১ জানুয়ারি আইনটিতে সম্মতি দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে ১৩ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।