আজকের দিন তারিখ ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// আগুনে পুড়ে ছাই মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে

আগুনে পুড়ে ছাই মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ , ২:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে শত শত দোকান। দুবাই জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন জানান, ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসেন তিনি। তখনও অবশ্য তার দোকানে আগুন লাগেনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় সামান্য কিছু মালামাল সরাতে পারলেও সব সরাতে পারেননি। তার দুটি দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল বলেও জানান তিনি। সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স আবু কাওসার বলেন, তার দোকানে দুই কোটি টাকার কাছাকাছি মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে তবে বেশিরভাগই দোকানে থাকায় আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। মার্কেটটিতে স্বর্ণের দোকান ছাড়াও কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল। সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।  পৌনে ৪ টার দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কল্যাণপুর ও হেডঅফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের তীব্রতাও বাড়ে। ঘটনাস্থলে পানির সঙ্কট দেখা দেয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত পৌনে ৪ টায় আগুনের সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। প্রথমে ৭ টি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ইউনিট বাড়িয়ে দেয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা। এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আগুনে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বরছেন, মার্কেট ও কাঁচাবাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৭০০-৮০০টি দোকান ছিল। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেছেন, অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে।  আমাদের বরাদ্দ দেওয়া দোকান ছিল ৩১৭টি। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি সেখানে ২১৭ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ফায়ার সার্ভিসও বলেছে ভেতরে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।

এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএনসিসির এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মার্কেটের ব্যবসায়ী যারা আছেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা তাদের তালিকা করছি। বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসবে। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়বো। আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। যতটুকু সম্ভব ডিএনসিসির পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে। সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা এই মার্কেটটিতে আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্র ছিল না, অবৈধ দোকান ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের কী ভূমিকা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখানে বাজার সমিতি আছে তাদের এই কাজগুলো করার জন্য আমরা বারবার নির্দেশনা দিয়েছি, অনুরোধ করেছি। এই কাজগুলো না করার কারণেই আমরা এখন এর ভয়াবহতা দেখতে পাচ্ছি। মালিক সমিতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়ী কি না- এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তদন্ত করে জানা যাবে কারা দায়ী। তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।