আচমকা টেস্ট দলে মাহমুদউল্লাহ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৭, ২০২১ , ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে প্রতিবেদক : টেস্ট পরিকল্পনা থেকে আগেই বাইরে রাখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ে সফরের টেস্ট দলেও প্রথমে রাখা হয়নি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু শনিবার বিসিবি এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য টেস্ট দলে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের অন্তর্ভূক্তির কথা জানায়। সে হিসাবে ১৬ মাস পর সাদা জার্সির দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। হুট করে কেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টেস্ট দলে ডাকা হলো? তিনি তো পরিকল্পনায় ছিলেন না! এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান জানিয়েছেন, মুশফিকের ব্যাকআপ হিসেবে রিয়াদকে নেওয়া হয়েছে। মূলত করোনা পরিস্থিতি ও চোট সমস্যার কথা বিবেচনা করেই টেস্ট স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা একজন বাড়ানো হয়েছে। ফলে অভিজ্ঞ মাহমদুউল্লাহকে নেওয়াই শ্রেয় মনে হয়েছে নির্বাচকমণ্ডলীর।
সাংবাদিকদের আকরাম খান বলেন, গত ২৫ জুন আমরা জরুরি সভা করেছি। রিয়াদের বিষয়টি সেই সভার সিদ্ধান্ত, যেখানে নির্বাচকরা ছিলেন, বোর্ড সভাপতি ছিলেন, আমিও ছিলাম। সভায় খেলোয়াড়দের ইনজুরি নিয়ে আলোচনা হয়। তামিমের পায়ে একটা ব্যথা আছে, মুশফিকের আঙুলে একটা সমস্যা আছে। জিম্বাবুয়েতে আমাদের এটা বড় সফর আর এখনকার করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই কঠিন হয়ে ওঠে। তাই আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না, স্কোয়াডটা বড় করেছি। আকরাম বলেন, আমি মুশফিকের কথা বলছি। মূলত তার ব্যাকআপ হিসেবে (রিয়াদের অন্তর্ভুক্তি)। আমরা ৮০ ভাগ নিশ্চিত যে তামিম-মুশফিকরা খেলবে, তার পরও কোনো ঝুঁকি নিচ্ছি না।যদি কোনো কারণে মুশফিক না খেলতে পারে! মুশফিকের জন্য ব্যাকআপ হিসাবে মাহমুদউল্লাহকে রাখা। আবার টিম ম্যানেজমেন্ট যদি চায় বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাবে।
এখন পর্যন্ত ৪৯টি টেস্ট খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষটি খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, পাকিস্তান সফরে। রাওয়ালপিণ্ডিতে সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতে বাজে শটে আউট হওয়ার পর তিনি জায়গা হারান দলে। এর পর টেস্টের জন্য আনফিট ছিলেন অনেক দিন। কাঁধের ইনজুরির জন্য বোলিং করতে পারছিলেন না। তবে সম্প্রতি সব দিক দিয়ে চাঙা রয়েছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। চলতি ডিপিএলে বোলিংও করছেন।
একনজরে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম।