আতঙ্ক ছড়িয়ে সেল প্রেসার! কারা এরা?
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১১, ২০২১ , ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : গতকাল রোববার (৯ মে) লেনদেন শুরুর আগে প্রি-ওপেনিং সেশনের চিত্র এটি। খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) সেল-বাই চিত্র। আগেরদিনের চেয়ে দুই শতাংশ কম দরে হল্টেড প্রাইসে ১০ লাখের বেশি শেয়ারের সেল অর্ডার দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চিত্র। চিত্রটিতে দেখা যায়, আগেরদিন বৃহস্পতিবার কেপিসিএলের ক্লোজিং দর ছিল ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা। রোববার লেনদেন শুরুর আগে প্রি-ওপেনিং সেশনে দুই শতাংশ কম দরে ৩৫ টাকায় ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮টি শেয়ারের সেল অর্ডার বসানো হয়েছে। এর আগের পাঁচদিনও এভাবে দুই শতাংশ কম করে ১০ লাখের বেশি শেয়ার ওপেনিং সেশনে বসানো হয়। গত ৫ দিনই শেয়ারটি দুই শতাংশ কম দরে অর্থাৎ সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে ক্রেতাশুন্য থাকে।
এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। ৬৬টি কোম্পানির মধ্যে সংস্থাটি নিয়ম করে দেয় যে, দর বাড়ার ক্ষেত্রে যথারীতি ১০ শতাংশ করে বাড়তে পারবে। তবে দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ করে কমবে।
সেই নিয়মে কেপিসিএলের দর প্রতিদিন ২ শতাংশ করে কমতে থাকে। এক পর্যায়ে শেয়ারটির দর ৩২ টাকার ঘরে নেমে আসে। তারপর খবর আসে কোম্পানিটির বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির তদবিরে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে খোদ বিএসইসি সামিল হয়েছে, তখন শেয়ারটির দর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এক পর্যায়ে দর ৩৯ টাকার উপরে চলে যায়।। তারপর থেকেই লেনদেন শুরুর আগে প্রি-ওপেনিং সেশনে আতঙ্ক ছড়ানো সেল দিয়ে শেয়ারটির দর প্রতিদিন ২ শতাংশ করে কমানোর পাঁয়তারা চলে।
গতকাল রোববারও একই কায়দায় আতঙ্ক ছড়ানো সেল দেয়া হয়। লেনদেনের আগেই বড় সেল প্রেসার। প্রশ্ন হচ্ছে-এরা কারা? নিয়ন্ত্রক সংস্থার রাডারে কী এদের কার্যকলাপ ধরা পড়ে না? এরাও কী কারসাজিকারীদের দলের লোক? কারসাজিকারীদের কার্যকলাপতো সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারলেও বিএসইসির অত্যাধুনিক রাডারে ধরা পড়ে না