আপিল বোর্ডকে পাত্তা দিচ্ছেন না জায়েদ খান, যা বলছেন সোহান
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২ , ৪:৩৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
দিনের শেষে ডেস্ক : সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আপিল বিভাগের কাছে আসা চিঠি নিয়ে উত্তেজনার হাওয়া বইছে এফডিসিতে। বৃহস্পতিবার দিনভর কাঞ্চন ও মিশা দুই দুই প্যানেল থেকেই বিষয়টি নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। বিষয়টির সূরাহা করতে শনিবার জায়েদ খান ও নিপুণকে নিয়ে বসার কথা রয়েছে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের। কিন্তু আপিল বোর্ডকে পাত্তা দিচ্ছেন না জায়েধ খান। এর কোনো কার্যকারিতা আর নেই মন্তব্য করে আলোচনায় বসতে রাজি নন জায়েদ খান।
টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এ চিত্রনায়ক বললেন,‘আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব! কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত।কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এরপরও বাদীর কিছু বলার থাকলে মহামান্য কোর্টে গিয়ে বলতে পারেন।’ জায়েদ খানের এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সোহানুর রহমান সোহান জানালেন, শনিবার আলোচনায় বসা হবে এবং সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘ জায়েদ না বসতে চাইলে আমরা আমাদের মতো সিদ্ধান্ত দিয়ে দেব। তার পক্ষেও তো ফল যেতে পারে। যদি না আসেন, অভিযোগগুলোর যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণ নাই-ই করেন, তাহলে তার পক্ষে রায় যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা আর থাকছে না।’ এর আগে সোহানুর রহমান সোহান জানিয়েছিলেন, বিষয়টির সুরাহা করতে মন্ত্রণালয় তার ওপর সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছে। শনিবার দুই পক্ষের সঙ্গে বসবেন তিনি। অভিযোগগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সামারি তৈরি করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবেন।
জায়েদ খান শনিবারের আলোচনায় না বসতে চাইলেও নিপুণ অংশ নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়ে আপিল বোর্ডের একটি চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। শনিবার বিকেলে অভিযোগের প্রমাণাদি নিয়ে বিএফডিসিতে আমাকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। আমি থাকব।’ প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে বিএফডিসিতে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ভোটাভুটির ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও বির্তক থামছেই না।
নির্বাচনের পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন কাঞ্চন প্যানেলের এ সদস্য। এর পর শিল্পী সমিতির নির্বাচনি গঠনতন্ত্রবহির্ভূত ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনার জন্য আসে। চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।