উদয়ের যৌন সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ নার্গিসের!
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
অনলাইন বিনোদন ডেস্ক: উদয় চোপড়ার সঙ্গে নার্গিস ফাকরির প্রেমকাহিনীর অবসান বোধহয় তার তরুণ ভক্তদের মনে প্রশান্তির পানিই ঢেলেছে। কারণ অনেক ভক্তই আছেন যারা চান না তার বিপরীত লিঙ্গের প্রিয় তারকাটি অন্য কারও সঙ্গে প্রেম করুক। চুটিয়ে ডেট করুক।
তবে এবার নার্গিসের এক টুইট বার্তা যেন তাদের মনের আকাশে টর্ণেডোর জন্ম দিল! বিচ্ছেদের পর থেকেই উদয়-নার্গিস মিডিয়াকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। তারপরও দীর্ঘদিনের প্রেমের সময়কার তাদের রোমান্স নিয়ে মসলাদার গল্প এতটুকুও থেমে থাকেনি। বরং, মিডিয়াকে এড়িয়ে যাওয়ায় এটা অন্ধকারে ইচ্ছামতো ডালপালা মেলেছে।
তবে এবার নার্গিস নিজেই তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এমন মন্তব্য করলেন যা দেখেই চোখ কপালে উঠলো ভক্তদের। গুঞ্জন চলছে ফিল্মপাড়ায়। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি তারা লিভ টুগেদার করতেন? কতদিন?
টুইটারে সুন্দরী নার্গিস লিখেছেন, ”তোমার মানসিক সমস্যা তোমার শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেছে। তুমি শীঘ্রই এজন্য একটা সাপোর্ট সিস্টেম ব্যবহার শুরু করো। একাকীত্ব তোমার জীবনকে শুষে নিয়েছে।” নায়িকার এমন মন্তব্যে উদয় চোপড়ার দিকেও বাঁকা চোখে তাকাচ্ছেন সবাই।
কারণ, এ লেখাটি যে উদয়কে উদ্দেশ্য করে তা আর বুঝতে বাকি নেই কারও। তাহলে কি উদয় চোপড়া যৌন জীবনে অপারগ? সে জন্যই কী উদয়কে ছেড়ে গেছেন নার্গিস? না হলে নার্গিস তাকে সাপোর্ট সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন কেন? তবে অনেকে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে বলছেন, নার্গিস আসলে উদয়কে একাকীত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে যে কোন অবলম্বন নিতে বলেছেন।
তিনি উদয়ের শারীরিক স্বাস্থ্যের কথা বলেছেন, এটা দিয়ে যৌন সমস্যার কথা বোঝাননি। এর আগে গত এপ্রিলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নার্গিস বলেন, উদয় তার জীবনের একটা অংশ হতে যাচ্ছে। নার্গিস এখন আমেরিকায় অবস্থান করছেন। উদয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার নতুন ছবি ‘হাউজফুল ৩’ এর প্রচারণা বাদ দিয়েই আমেরিকায় পাড়ি জমান নায়িকা।
খবরে বলা হয়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় কিছুদিনের জন্য অবকাশ কাটাতেই নার্গিসের এ প্রস্থান। যদিও বিচ্ছেদের পর উদয়কে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘নার্গিস ও আমি এখনও ভালো বন্ধু।’ তবে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নার্গিসের পোস্ট বললো ভিন্ন কথা। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তাদের মধ্যে সম্পর্কটা আর ‘ভালো’র জায়গায় নেই।
কারণ নার্গিস যে তীর ছুড়েছেন, তাতে উদয়ের সঙ্গে নতুনভাবে অন্য কেউ প্রেমে জড়াবে কিনা তাতেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি মুক্তপ্রাপ্ত ‘আজহার’ ছবিতে চুম্বন বাদশাহ ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয় করেছেন নার্গিস ফাকরি। ছবিতে তিনি আজহারের দ্বিতীয় স্ত্রী সংগীতা বিজলানির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছবি নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন নার্গিস।
তিনি বলেন, ইমরানের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্য তিনি মোটেই উপভোগ করেননি।
এছাড়া অহেতুকই এ দৃশ্য বার বার রিটেক করা হয়েছে। এমনকি প্রতিটি চুম্বন দৃশ্যের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিকও দাবি করেন নায়িকা। ‘রকস্টার’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখা নার্গিস ফাকরির বেশ কিছু মন্তব্য সম্প্রতি আলোচনার ঝড় তোলে।
ফিল্মফেয়ারে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নায়িকা বলেন, ”যখন বলিউডে পা দিলাম তখন সংবাদপত্রে আমাকে নিয়ে একটি নিবন্ধ পড়েছিলাম। সেখানে বলা হয়েছিল রকস্টার নায়িকা ভারতীয় আতিথেয়তা বেশ উপভোগ করছেন। তখন বুঝতে পারিনি যে ওই নিবন্ধে আমাকে পতিতা বোঝানো হয়েছে।”
নার্গিস বলেন, ”যদি আমার বড় স্তনযুগল থাকতো, অর্থাৎ মানুষ তা দেখতে পেত, তারা সেটা নিয়েই আলোচনা করতো। আমার ধারণা তারা আমার নিতম্বও দেখেনি। এটাও অনেক বড়। কিন্তু এগুলো সবই ‘রকস্টার’ সিনেমাতে স্যালোয়ার-কামিজে আবৃত ছিল। ওই সিনেমায় আমি পুরোপুরিই আবৃত ছিলাম। তাই কে কী বললো তা নিয়ে মাথা ঘামাইনি।”
এসময় স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নার্গিস বলেন, ”ভাগ্যিস তারা আমার নাক নিয়ে কিছু বলেনি। এটা নিয়ে আমি অনেক হীনমন্যতায় ভুগি।”
এ সময় ঘনিষ্ঠতা ও যৌনজীবন নিয়ে বলতে গিয়ে নার্গিস বলেন, ”কতদিন একজন নারী যৌনতাবিহীন জীবনযাপন করতে পারে! নারীদের যৌনজীবন উপভোগ করা উচিত।”
নায়িকা বলেন, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতাই একসময় যৌনতার দিকে নিয়ে যায়। নার্গিসের এমন মন্তব্যের পরই মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয় উদয়ের সঙ্গে নায়িকার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। এ যুগলের ঘনিষ্ঠতা কি তাহলে যৌনজীবন পর্যন্ত গিয়েছিল? নার্গিস ফাকরির সাম্প্রতিক টুইটার পোস্ট সকল প্রশ্নেরই যেন উত্তর দিয়ে দিয়েছে।