আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য এক ঘোষণায় সোনালী লাইফ বিনিয়োগকারীদের পোয়াবারো

এক ঘোষণায় সোনালী লাইফ বিনিয়োগকারীদের পোয়াবারো


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০২১ , ১২:২৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে সদ্য লেনদেনে আসা বিমা খাতের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স গত বৃহস্পতিবার ২০২০ সালের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং ২০২১ সালের জন্য ২ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত এক ঘোষণায় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৪৪০ শতাংশ। যে কারণে কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা আজ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। এক ঘোষণায়ই কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের পোয়াবারো। নিয়ম অনুযায়ি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি ও কমার ক্ষেত্রে একটি সীমা থাকে, যা সার্কিট ব্রেকার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কোনো কোম্পানি যখন তার কোনো করপোরেট ঘোষণা প্রকাশ করে, তারপর প্রথম লেনদেনে সেই কোম্পানির শেয়ার দরে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকে না। ফলে শেয়ারের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ দাম বাড়তে বা কমতে পারবে। আজ লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৬ থেকে এক লাফে উঠে আসে ৬০ টাকায়। পরে তা বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে ৯৩ টাকা ছাড়ায়। যদিও শেষ বেলায় খানিকটা কমে এসে স্থির হয়েছে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সায়। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে পুঁজিবাজারে। এটিই প্রথম কোম্পানি, যেটির শেয়ার যারা আবেদন করেছেন, তাদের সবাই পেয়েছেন। যারা ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে শেয়ারের আবেদন করেছেন, তারা পেয়েছেন ১৭টি শেয়ার, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ২২ বা ২৩টি করে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৩৩টি করে। আর যারা ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন, তারা পেয়েছেন এর ১০ গুণ শেয়ার। এর আগ পর্যন্ত শেয়ার বণ্টন হতো লটারির মাধ্যমে। আর একেকজন পেতেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার। সেটি ২০০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত হয়েছে। আবার এই শেয়ারটি প্রথম দিন থেকেই স্বাভাবিক সার্কিটব্রেকারে লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০ শতাংশের বেশি দাম বাড়া বা কমা সম্ভব ছিল না। কোম্পানিটি গত ৩০ জুন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে। এরপর ৫ কর্মদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে দাম হয়েছিল ১৬ টাকায়। আজ ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারণে অন্য কোম্পানির শেয়ার কোনো প্রান্তসীমা ছাড়াই লেনদেন হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পুরনো কোম্পানিগুলোর যেগুলো নিয়মিত ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে, সেগুলোর দাম সোনালী লাইফের চেয়ে বেশ কম ছিল। এ কারণে এত পরিমাণ দাম বাড়ায় নানা কথা হচ্ছে।
এদিনই মূলত কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর গত ৭ জুলাই ২০ হাজার ৬৮৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। তবে মূল্যসীমা না থাকার দিন হাতবদল হয়েছে ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৯টি শেয়ার।
সোনালী লাইফ পুঁজিবাজারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই টাকায় সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ছাড়াও কোম্পানিটির আইপিওর ব্যয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।