আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস এক জীবনে খেলোয়াড় পরে আম্পায়ার যারা

এক জীবনে খেলোয়াড় পরে আম্পায়ার যারা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৯, ২০২০ , ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : এক সময় মাঠের খেলোয়াড় ছিলেন। পরবর্তীতে বাইশ গজের অতন্দ্র প্রহরী। ক্রিকেট মাঠের সবকিছুই নখদর্পণে তাদের। ক্রিকেট শাস্ত্রের নানা নিয়ম-কানুন আর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে করেছেন খেলা পরিচালনা। খেলোয়াড় থেকে আম্পায়ার হিসেবে ভূমিকা পালনকারী এমন কয়েকজনকে নিয়ে এ রিপোর্ট। মাঠের খেলোয়াড় থেকে বিচারকের ভূমিকায় যারা তাদের খেলোয়াড়ি জীবন হয়তো দীর্ঘ হয়নি। কিন্তু বিচারক হিসেবে ঠিকই সুনাম কুড়িয়েছেন তারা। মাঠের যাবতীয় নিয়ম-কানুনের যথাযথ প্রয়োগ করাই যাদের কাজ। খেলা পরিচালনার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হয় আম্পায়ারদের। যুগে যুগে এই দায়িত্ব পালন করেছেন অনেকেই। কিন্তু খেলোয়াড়ি জীবন থেকে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন এমন সংখ্যা হাতেগোনা। ডেভিড শেফার্ড। ১৯৬৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যার হাতেখড়ি। খেলেছেন লিস্ট এ ক্রিকেটও। সবমিলিয়ে রান করেছেন প্রায় ১৪ হাজারের মতো। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেও মাঠের মায়া ছাড়তে পারেননি। দায়িত্ব নেন আম্পায়ারিংয়ের। ১৯৮১ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আম্পায়ারিং শুরু করেন শেফার্ড। দুই বছরের মাথায় ১৯৮৩ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরিচালনাকারী হিসেবে অভিষেক হয় তার। অ্যাশেজের ম্যাচ দিয়ে টেস্ট আম্পায়ারিং শুরু করেন ১৯৮৫ সালে। সবশেষ ২০০৫ সাল পর্যন্ত ৯২ টেস্ট আর ১৭২টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এই ইংলিশ আম্পায়ার। এছাড়াও তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচেও বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন ডেভিড শেফার্ড। ২০০৯ সালে শেফার্ডের মৃত্যুর পর তার নামে বেস্ট ‘আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার’ ট্রফি চালু করে আইসিসি। ক্রিকেট মাঠের অন্যতম সেরা আম্পায়ারদের একজন স্টিভ বাকনার। একসময় ফুটবল খেলতেন। জ্যামাইকান লিগে গোলকিপারের ভূমিকায় দেখা যেত বাকনারকে। এরপর ফিফার অন্তভূর্ক্ত রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে সবশেষ আম্পায়ার হিসেবেই স্থির হয়েছেন। ১৯৮৯ সালে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে দায়িত্ব শুরু করেন। একই বছর জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেন বাকনার। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১২৮ টেস্ট এবং ১৮১টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। এছাড়া পাঁচটি বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচেও ছিলেন বিচারকের ভূমিকায়। প্রথম জীবনে ফাস্ট বোলিং করতেন সাইমন টাফেল। অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতেন টাফেল। কিন্তু সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ইনজুরির কারণে পিছুটান দিতে হয় তাকে। তবে ক্রিকেটকে ভালোবেসে আম্পায়ারিংটা ধরে রেখেছেন ঠিকই। ২০১২ সালে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেন এই অজি আম্পায়ার। দুইবার আইসিসির সেরা আম্পায়ারের পুরস্কারে ভূষিত হন টাফেল। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিলি বাউডেনও প্রথম জীবনে ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু আর্থারাইটিস রোগের কবলে পড়ে ক্যারিয়ার এগোয়নি। তবে ভালোবেসে আম্পায়ারিংটা করে গেছেন দক্ষতার সঙ্গেই। বাঁকা আঙ্গুলের ইশারায় কখনো কাঁদিয়েছেন আবার কখনো উল্লাসে মাতিয়েছেন গ্যালারি।