এবার যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ চীনের
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৪, ২০২০ , ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেংগদুতে অবস্থিত কনস্যুলেট বন্ধের জন্য দেশটিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুলাই) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিসিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাসে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয়ার এক দিন পর এ সিদ্ধান্ত নিলো চীন। চেংগদুতে অবস্থিত ওই কনস্যুলেট-এর সব কার্যক্রম দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীন।
এর আগে ২২ জুলাই টেক্সাসে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবারের (২৪ জুলাই) মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকরের বাধ্যবাধকতা দিয়েছে মার্কিন সরকার। সে সময় তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ সিদ্ধান্তকে আপত্তিজনক এবং অন্যায় বলে মন্তব্য করেন। এটিকে রাজনৈতিক উস্কানি বলে উল্লেখ করেছে চীন। যদিও নিজেদের মেধাস্বত্ব রক্ষায় এটি একটি পদক্ষেপ বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ২১ জুলাই চীনের কনস্যুলেট চত্বরে কিছু নথি পুড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ পায়। ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি কনস্যুলেট চত্বরে কিছু নথি পুড়িয়ে দিচ্ছে। সেখানকার কর্মকর্তারা বহু নথিপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরপরই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এতে বলা হয়, ‘আমেরিকান ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিকে সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কুই থিয়ানকাই বলেন, ‘হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক এবং চীনের স্থানীয় আইনকানুন মেনে চলে। তারা নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য সব দেশের আইনকানুনের প্রতিও, যেসব দেশে তারা ব্যবসা করে থাকে। তারা (হুয়াওয়ে) আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি এবং পণ্যের মান উন্নয়ন করছে। তাদের কার্যক্রমে আমরা উৎসাহ দেই, সমর্থন করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কি হয়েছে আমার বোধগম্য নয়। তারা হুয়াওয়ের উন্নয়নকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। তাদের অবস্থান সম্পূর্ণভাবে আইন এবং বাজার ব্যবস্থার রীতি-নীতির সঙ্গে সাঙ্ঘর্ষিক। আঞ্চলিক রাজনীতি এবং বিশ্বঅর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশ দুটির সম্পর্ক চির বৈরিতে রূপান্তর হয়েছে। এরই মধ্যে চীন সাগরে মার্কিন নৌ-মহড়াকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে।