এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটির গবেষণা : মাছ ও চিংড়িতে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৭, ২০২০ , ৭:২১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : তেলাপিয়া, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন চাষকৃত মাছ নিয়ে দেশে নানা ধরনের গুজব ও ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। আর এ কারণে লোকসান গুনছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের মাছ চাষীরা। একই সঙ্গে কম দামে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘তেলাপিয়া মাছে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে’ বলে গুজব ছড়ায়। এতে এসব মাছ বিক্রি নিয়ে আরো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন এ খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে মাছ বা চিংড়িতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো প্রমাণ পায়নি গবেষক দল। গতকাল ওয়ার্ল্ড ফিশের বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এশিয়ান ফিশারিজ সোসাইটির এক সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে বলা হয়, মাছ বা চিংড়ির মতো জলজ প্রাণীর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং এসব প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের করোনা মহামারীতে কোনো ভূমিকা রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, নরওয়ে, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়ার এসব বিশেষজ্ঞসহ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এ গবেষণায় অংশ নেন। বিশ্বজুড়ে অনেক ক্রেতা জীবন্ত প্রাণী ও সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে নভেল করোনাভাইরাসের উত্পত্তি বলে গুজব শুনে এসব পণ্য কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর এ গুজবের বিপরীতে ভাইরাসের ‘সংক্রমণ নিয়ে পরিষ্কার যোগাযোগ’ হিসেবে এ গবেষণাপত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা সরকারের মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এক ভিডিও বার্তায় করোনা মোকাবেলায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও এসব দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পাশাপাশি এসব শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।