আজকের দিন তারিখ ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন ঐশ্বর্যার বিরুদ্ধে প্রেমিক কেড়ে নেয়ার অভিযোগ মনীষার

ঐশ্বর্যার বিরুদ্ধে প্রেমিক কেড়ে নেয়ার অভিযোগ মনীষার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১১, ২০২১ , ২:১৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  সব সময় এড়িয়ে চললেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ঐশ্বর্যা রাইয়ের। সলমন খানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে নানা বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। মূলত এর পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আরো ভেবেচিন্তে কথা বলতে শুরু করেছিলেন ঐশ্বর্যা। জানেন কি সালমনের সঙ্গে সেই ঝগড়ার আগেও এক বার বড় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ঐশ্বর্যা? সেবার তার ঝগড়া বেধে গিয়েছিল মনীষা কৈরালার সঙ্গে, এক মডেলকে নিয়ে।

ঝগড়ার সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে। সে সময় একটি প্রথম সারির ম্যাগাজিনে মনীষার একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, মনীষার জন্য ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন রাজীব মুলচন্দানি। রাজীব ছিলেন সে সময়ের সুপারমডেল। ঐশ্বর্যা তখন মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জিতে ফেলেছিলেন। প্রথম সারির মডেল ছিলেন তিনি।

মডেলিংয়ের সূত্রেই রাজীবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু তখনও একটিও ছবি করেননি। বলিউডে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওই খবরে বিস্মিত হয়ে যান তিনি। খবরটি পড়েই রাজীবের সঙ্গে কথা বলেন এবং এক পরে সাক্ষাৎকারে মনীষার যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পাল্টা মনীষার সম্বন্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

তিনি জানিয়েছিলেন, রাজীব তার বন্ধুমাত্র। রাজীব এবং মনীষার প্রেম কাহিনির মধ্যে দড়ি টানাটানিতে তিনি কোনও ভাবেই নেই এবং থাকতেও চান না। এর পরই মনীষাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তিনি জানান, প্রতি দু’মাস অন্তরই মনীষার প্রেমিক বদলান। মনীষাও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানান ঐশ্বর্যার মন্তব্যে। নীচ মানসিকতার মানুষ বলে আক্রমণ করেন ঐশ্বর্যাকে। পরে ১৯৯৫ সালে মনীষার ‘বম্বে’ ছবি মুক্তি পায়। তার পর পুরনো বিবাদ ভুলে মনীষাকে শুভেচ্ছা জানাবেন মনে স্থির করেন ঐশ্বর্যা।

কিন্তু পর দিন সকালে সংবাদমাধ্যমে নাকি তিনি ফের মনীষাকে পুরনো প্রসঙ্গ তুলতে দেখেন। এক সাক্ষাৎকারে মনীষা জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্যার লেখা প্রেমপত্র রাজীব তাকে দিয়েছিলেন।এই ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্যা তার কাছ থেকে রাজীবকে ‘কেড়ে নিয়েছিলেন’। পুরো ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করে ঐশ্বর্যা বলেন, এই ঘটনা যদি সত্যি হত তা হলে এত দিন পরে কেন আচমকা তার এই কথাগুলো মনে পড়ল। সে সময়ই মনীষা কেন জানাননি। এত কিছুর মধ্যে কিন্তু প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন রাজীব। ঐশ্বর্য বা মনীষা- কারও সমর্থনে বা বিপক্ষে কথা বলেননি।