আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব করোনাকে বিদায় করেছে যে ৯ দেশ

করোনাকে বিদায় করেছে যে ৯ দেশ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০২০ , ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনার তাণ্ডব চলছেই। অচেনা এই ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ লাখ ছুঁই ছুঁই। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ। তবে ধীরে ধীরে এর প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। এমনকি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও।

এদিকে এরই মধ্যে বিশ্বের নয়টি দেশ প্রাণঘাতী করোনাকে বিদায় করে দিয়েছে। সেই নয়টি দেশের সংখ্যা বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হল-

নিউজিল্যান্ড- এই দেশে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। করোনা জয় করে শেষ রোগীও বাড়ি ফিরে গেছেন। আনন্দে আত্মহারা কিউই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। সে দেশে নতুন করে কোনো করোনা আক্রান্তের রোগীর হদিস মেলেনি।

মন্টিনিগ্রো– ইউরোপের বুকে বসনিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মন্টিনিগ্রো। একেবারে যুদ্ধ জয়ী রাজার মতো। ১৭ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর মেলে বালকানস তীরের এই দেশ থেকে। তারপর লকডাউনের পথেই হাঁটে ৬ লাখ ২২ হাজার ৩৫৯ জনের এই দেশ। ৩২৪ জনেই আটকে যায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। এই দেশ গত ২৪ মে নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে।

ইরিত্রিয়া- আফ্রিকার একেবারে পূর্ব দিকে ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশ ইরিত্রিয়া। ২১ মার্চ নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির দেহে প্রথম ধরা পড়ে করোনা। করোনা যুদ্ধ শুরু করে ৯ জাতীয় ভাষার এই দেশ। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ৩৯ জন। ১৫ মে করোনামুক্ত লাভ করে এই দেশ।

পাপুয়া নিউ গিনি- ওশিয়ানিয়ার এই দেশের জনসংখ্যা ৮০ লাখ ৯০ হাজার। মার্চ মাসের ২০ তারিখ প্রথম করোনার হদিশ মেলে এই দেশে। তারপর জারি হয় রাত্রিকালীন কারফিউ। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্দোনেশিয়া সীমানা। এশিয়া থেকে যাত্রী আসা একেবারে নিষিদ্ধ করে দেয় এই দেশ। মাত্র ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এই দেশে। গণপরিবহন ও জমায়েত বন্ধ করেই ৪ মে করোনা মুক্ত হয়েছে এই দেশ।

সিসিলি- একসময় ব্রিটেনের কাছে পরাধীন ছিল এই দেশ। ১৯৭৬ সালের ২৯ জুন স্বাধীন হয় সিসিলি। রাজধানীর নাম ভিক্টোরিয়া। ১৪ মার্চ প্রথম দু’জনের দেহে ধরা পড়ে করোনা। সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করা হয় যুদ্ধ জাহাজ। বন্ধ করা হয় চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে সব যাতায়াত। ৯৭ হাজার ৯৬ জনের এই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১১ জন। এখন সকলেই সুস্থ।

হলি সি- ‘রোমান কোর্ট’ দ্বারা পরিচালিত হয় এই দেশ। করোনা ধরা পড়ার পর এই দেশে সব ধরনের পর্যটন বন্ধ করা হয়। মাত্র ১২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এই দেশে। ৬ জুন নিজেদের করোনা মুক্ত বলে দাবি করে তারা।

সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস- ক্যারিবিয়ান এই দেশের জনসংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪১। এখানে প্রথম করোনা হানার খবর মেলে ২৪ মার্চ। তারপর বন্ধ করা হয় বিমানবন্দর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনিত্যপ্রয়োজনীয় সব দোকান। জারি করা হয় কারফিউ। মাত্র ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। ১৯ মে নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা দেয় তারা।

ফিজি- ওশিয়ানিয়ার এই আইল্যান্ডও একসময় পরাধীন ছিল ব্রিটেনের কাছে। এই দেশে ফিজি হিন্দি ভাষার প্রচলন রয়েছে। ১৯ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে এই দেশে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী ফ্রেঙ্ক বেইনিমারামা বন্ধ করে দেন বিমান পরিষেবা। বাইরে থেকে আগত সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয় ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন। ১৮ জন করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই দেশে। ২০ এপ্রিল নিজেদের করোনা মুক্ত ঘোষণা করেছে ফিজি।

পূর্ব তিমুর- এশিয়ার এই দেশের রাজধানী দিলি। ২১ মার্চ প্রথম এই দেশে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়। পরে সেখানেও বন্ধ করে দেয়া হয় ভ্রমণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণ জমায়েত। অবশেষে ১৫ মে সুস্থ হয়ে ওঠেন সে দেশের ২৪ তম শেষ করোনা রোগী। করোনা মুক্ত হয় পূর্ব তিমুর।