করোনাঝুঁকি গণপরিবহনে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০২০ , ৩:০৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহনে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হলেও তা মানছেন না পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। বরং ভাড়া বেশি দিয়ে করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই তারা গণপরিবহনে চড়ে যাতায়াত করছে। রাজধানীর ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে এই দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রীরা শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে উঠছেন না। তারা একে অপরের গায়ে গা ঘেঁষে বাসে উঠছেন। আর পরিবহনের শ্রমিকরাও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
তবে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেলও তারা হাতে গ্লাভস ব্যবহার করছেন না। গণপরিবহন চলাচল শুরু হবার পর থেকেই প্রতিদিন অফিস করেন সাংবাদিক নাজমুল হোসেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন কেমন চলছে জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, করোনার এই সময়টাতে যে সুরক্ষার চিন্তা করে গণপরিবহন রাস্তায় নামানো হয়েছে সেটার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ গাড়িতে হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবস্থা থাকলেও ব্যবহার খুবই কম। এছাড়া এসব স্যানেটাইজার আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তার উপর বসার সিট একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করছে যেখানে নেই কোনো সুরক্ষা। এভাবে চলাচল ঝুঁকি অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রফিকুল ইসলাম ফার্মগেট থেকে প্রতিদিন বাসে করে মতিঝিলে যান। এই পরিবহন যাত্রী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বাসে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরপরও বাসে উঠা এবং নামার সময় কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। আর যে সিটে একজন যাত্রী বসেছিল সেই সিটের আরেকজন যাত্রীকে বসানো হয়। কিন্তু যাত্রীকে বসানোর আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয় না। যার ফলে গণপরিবহনে করোনার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে!
জানতে চাইলে বাস কন্ডাক্টর সোহেল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি যাত্রীদের বাসা উঠানোর জন্য। কিন্তু যাত্রীরা যদি শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানেন তাহলে আমরা কি করবো?
এদিকে কারওয়ান মোড়ে পুলিশ বক্সে থেকে মাইকে প্রতিনিয়তই করোনায় শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে এবং বাসে যাত্রীদের উঠতে এবং নামার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটির থাকার গত ৩১ মে থেকে সীমিতভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলেছে। একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু হয়েছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস সংকটকালে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। তবে বাস ও মিনিবাসে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে- এমন শর্তে নতুন ভাড়া কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এই বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাখ্যান করেছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ সিদ্ধান্ত সাধারণ জনগণের স্বার্থবিরোধী এবং তাদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে। ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানিকে আরো উসকে দেয়া হয়েছে।