কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করছে সরকার
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৮, ২০২২ , ৪:১১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করা হবে। মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কন্যাশিশুর শিক্ষা, বাল্যবিবাহ নির্মূলসহ নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য নিরসনের আইন প্রণয়ন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে থাকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের ওপরে বাংলাদেশের স্থান। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকবে বাংলাদেশ। খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্বের সব উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে উড়বে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
এ সময় মন্ত্রী নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক দেশ গড়ার মাধ্যমে চলমান উন্নয়নকে টেকসই ও চিরস্থায়ী করার শপথ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশে নারীর অগ্রযাত্রার পরিসংখ্যান তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, ব্যানবেইসের বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিকে পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৫.০৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিক ৫০.২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫.২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।
তিনি আরও বলেন, ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের পাসের হার আড়াই গুণ বেড়েছে। ১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।
নারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট হতে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ৭৫% নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে নয় লাখ একাত্তর হাজার আটশত তেহাত্তর জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ চারশত ছিয়াত্তর কোটি একুশ লাখ সাতাত্তর হাজার সাতশত টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল পাঁচ নারীকে পুরস্কৃত করা হয়। এবার জয়িতা পদক-২০২২ পেয়েছেন সানজিদা আক্তার শিমু, ড. হোসনে আরা আরজু, খোশনাহার বেগম, জেসমিন আক্তার, মোছাৎ রোকেয়া বেগম।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডা. আ.এ.মো. মহিউদ্দিন ওসমানী।