কেটে গেলো নবজাতকের পেট, সন্তানের মৃত্যুতে খুমেকে বিক্ষোভ
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৭, ২০২২ , ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসকের অবহেলায় বৃদ্ধার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। নবজাতকের বাবা সাগর গাজী বলেন, ১১ এপ্রিল আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরদিন তাকে খুমেক হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সিজার হয়। পরে জানানো হয় আমার একটি মেয়ে সন্তান হয়েছে। কিন্তু আমি সন্তান দেখতে চাইলে চিকিৎসকরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। তারা বলেন, সময় হলে সন্তান পাবেন। সে পর্যবেক্ষণে আছে। অথচ শনিবার সকালে চিকিৎসকরা জানান আমার সদ্যজাত মেয়ের কিডনির সমস্যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, দুপুরের দিকে মেয়ের মরদেহ আমাদের দেওয়া হয়। তখন দেখি বাচ্চার পেট কাটা। তারা আমার সন্তানকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেললো। তারা আমাকে আগে বললে প্রয়োজনে আমি সন্তানকে ঢাকায় নিয়ে যেতাম। আমার সন্তানকে ইচ্ছা করে আটকে রেখে হত্যা করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, ওই নারীর বাচ্চা পেটের মধ্যে উল্টো অবস্থায় ছিল। সিজার করে সন্তান প্রসব করানো হয়। সিজার করার সময় বাচ্চার পেটের ডান পাশে সামান্য কেটে যায়। এছাড়া বাচ্চাটি ডাউন অবস্থায় থাকায় তার হার্টেও সমস্যা হয়। একইসঙ্গে শারীরিক জটিলতাও ছিলো তার। ফলে চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। তিনি আরও বলেন, শনিবার বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর স্বজনরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে তাদের অনুরোধ করেছি একটি আভিযোগ দেওয়ার জন্য। তারা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কোনো চিকিৎসক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে ৯ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে মারা যান নগরীর দৌলতপুরের পাবলা কারিকরপাড়া এলাকার বৃদ্ধা পিয়ারুন্নেছা। তার স্বজনদের অভিযোগ রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হলেও কোনো চিকিৎসক তাদের কাছে যায়নি। বারবার ডেকেও চিকিৎসক না যাওয়ায় বৃদ্ধার সন্তানরা বিক্ষোভ করেন। রাতেই তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বৃদ্ধার দুই সন্তানকে আসামি করে সোনাডাঙা থানায় মামলা করা হয়েছে।